সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বিশ্বকাপের জন্য কোটি কোটি টা’কা’র স্টেডিয়াম ও হোটেল, খেলা শে’ষে কি হবে এগুলোর ভবিষ্যৎ?

কাতার এই নামটি দুমাস আগেও কতজন জানত তার ঠিক না থাকলেও বর্তমানে প্রায় সারা বিশ্বই জানেন কাটার কোথায় বা কাতারে দীর্ঘ এক মাস ধরে কি হচ্ছিল। গত রোববারের বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল মেটার পর এখন কাটার অনেকটাই ভিড় মুক্ত। সেই হই হই সেই উত্তেজনা এখন শেষ হয়েছে। কাপ জিতে নিয়ে গেছে আর্জেন্টিনা বা মেসির দল।সারা বিশ্ব টান টান উত্তেজনা নিয়ে দেখেছে সেই রুদ্ধশ্বাস খেলা। উপভোগ করেছে প্রাণ ভরে।

কিন্তু এখন? এখন কি হবে এই এত জৌলুসপূর্ণ স্টেডিয়াম গুলোর। কারন যতদূর জানা গেছে তাতে এই খেলার জন্য কাতার খরচ করেছে ১৭,৬৮,১৯০ কোটি টাকা।যা এখনও অবধি রেকর্ড খরচ। শুধু মাত্র বিশ্বকাপের জন্য কাতার ৭ টি স্টেডিয়াম গড়ে তুলেছিল সেসব এখন কি হবে সে নিয়ে নানা প্রস্তাব নেওয়া হচ্ছে।

শুধু স্টেডিয়াম নয় খেলা দেখতে আসা দর্শকদের জন্যও ব্যাঙের ছাতার মতো অনেক হোটেল বানানো হয়েছিল সেগুলোই বা এখন কি হবে সেই নিয়েও একটা চিন্তা ভাবনা করছে কাতার। তবে যতদূর জানা যাচ্ছে, ওই সাত স্টেডিয়ামের মধ্যে স্টেডিয়াম ৯৭৪ একেবারে টেম্পোরারিলি বানানো হয়েছিল।

আরো খবর: উল্কাপিন্ড আমাদের ইতিহাস ব’লে দিয়েছে! সব ধারণা ব’দ’লে দি’লো খড়গপুর IIT

কাতারের রাস আবু আবৌদ এলাকায় তৈরি এই বন্দর কাঠামোর স্টেডিয়ামে ৪৪ হাজারের বেশি আসন রয়েছে। জাহাজের পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্যবাহী স্টিলের কন্টেনার থেকে তৈরি হয়েছে। অস্থায়ী ভাবে তৈরি এই স্টেডিয়াম নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছিল ৯৭৪টি শিপিং কন্টেনার। কাতারের আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোডও +৯৭৪। তাই স্টেডিয়ামটির নাম দেওয়া হয় ৯৭৪।

এটি ফাইনাল মেটার আগে থেকেই খুলতে শুরু হয়ে যায়। তবে এই স্টেডিয়ামের পার্টস অন্য দেশের দুর্বল স্টেডিয়াম গুলোর জন্য পাঠানো হতে পারে বলে বলা হচ্ছে। এছাড়াও কাতারের প্রশাসন বলছে বাকি স্টেডিয়াম গুলোর মধ্যে , লুসাইল স্টেডিয়ামে একটি স্কুল এবং অনেকগুলি দোকান-ক্যাফে তৈরি করা হবে। খেলাধুলার করারও প্রচুর জায়গা ওই স্টেডিয়ামে থাকবে।

পাশাপাশি একটি হাসপাতাল এবং একটি কমিউনিটি হলও স্টেডিয়ামের জায়গায় তৈরি করা হবে। ফুটবল বিশ্বকাপের স্মৃতিতে একটি মিউজিয়াম তৈরিরও পরিকল্পনা চলছে ওই জায়গায়। ২টি স্টেডিয়াম ব্যবহার করবে স্থানীয় ২টি ফুটবল ক্লাব। আল রাইয়ান খেলবে আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে এবং আল ওয়াকরাহ খেলবে আল জানুবে।

যাতে আগামী বিশ্বকাপে কাতার জায়গা করে নিতে পারে তার প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করে দেবে কাতার। এছাড়াও আল বায়ত স্টেডিয়ামে খোলা হবে একটি বিলাসবহুল হোটেল, একটি শপিং মল এবং একটি ওষুধের দোকান। হোটেলগুলো আবাসন করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তারা।

আর কিছু হোটেল বহুতল বানিয়ে নিতে পারেন তারা। তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে এত হোটেলে থাকবে কারা। কারন ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী, ছোট্ট এই দেশের মোট জনসংখ্যা ২৯.৩ লক্ষ। তার মধ্যে স্থায়ী বাসিন্দাদের সকলেরই নিজস্ব বাড়ি আছে। তাই তাই হোটেলে কে থাকবে সেটা এখনো অজানা।