বলিউড হোক কিংবা টলিউড অভিনেতা অভিনেত্রীদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জন হামেশাই শোনা যায়। আসলে নিজেদের কেরিয়ারের কারন এই প্রফেশনের সাথে যুক্ত মানুষরা বাড়িতে বা নিজের কাছের মানুষটাকে বিশেষ সময় দিতে পারেন না। এর থেকেই নানা রকম দূরত্ব ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। যেটা এমন একটি পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়।
এই বার সেরকমই বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা গেলো অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ও বারখা সেনগুপ্তের। অবশ্যই এখন আর বিষয়টা গুঞ্জনে আটকে নেই এখন খোলাখুলি জানিয়েছেন বরখা যে তারা ডিভোর্স টা দিচ্ছেন একে অপরকে। তাদের সম্পর্কে কাল হয়ে দাঁড়ায় তাদের সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির আগমন, সে কারণেই চিড় ধরে সম্পর্কে।
টলিপাড়ার কোনো এক মিষ্টি নায়িকাকেই নাকি কাছের মানুষ করে বসেন ইন্দ্রনীল। সেখান থেকেই সম্পর্কে ছন্দপতন। তা নিয়ে কম তোলপাড় হয়নি সেই সময়। তবে প্রকাশ্যে এই নিয়ে এত দিন মুখে কিছু বলতে চান না বরখা-ইন্দ্রনীল। তবে এ বার আর লুকোছাপা নয়। ইন্দ্রনীলকে বিবাহবিচ্ছেদের চিঠি পাঠালেন অভিনেত্রী।
আরো খবর: ক’ম’তে পারে তাপমাত্রা! আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বৃষ্টির সম্ভাবনা!
তিন বছর ধরে নাকি আলাদা থাকছিলেন তাঁরা। তবে এ বার শুধু সময়ের অপেক্ষা। খুব শীঘ্রই বিবাহবিচ্ছেদ হতে চলেছে তাঁদের, জানান বরখা। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘হ্যাঁ আমাদের ডিভোর্সটা খুব শীঘ্রই হতে চলেছে। এটা আমার জীবনের অন্যতম কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল।’’ যদিও সমাজমাধ্যম-সহ সর্বত্র এখনও স্বামীর পদবি ব্যবহার করছেন বরখা।
এই নিয়েও কিছু দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে বরখা বলেন, “আমি এখনও আমার স্বামীর পদবি নামের সঙ্গে ব্যবহার করছি। কারণ কাগজেকলমে আমরা এখনও স্বামী-স্ত্রী। যত দিন বিবাহিত থাকব, তত দিন এটি ব্যবহার করব। আনুষ্ঠানিক ভাবে বিচ্ছেদ হলে নাম পরিবর্তন করব।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বরখা এবং ইন্দ্রনীলের ১১ বছরের কন্যা রয়েছে। সে অবশ্য মায়ের সঙ্গেই থাকে। মাঝেমাঝে বাবার সঙ্গে সময় কাটাতেও দেখা যায় তাকে। দু’জনে একসঙ্গে না থাকলেও মেয়ের প্রতি কর্তব্যে ফাঁক রাখেননি কেউই।কিন্তু তারা একে অপরকে শেষ অব্দি ডিভোর্স দিচ্ছেন এটা সত্য। তাদের জুটিটা তাই দর্শকদের মধ্যে অনেকেই মিস করবেন ।
