সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বেশ কিছু রাজ্যে হিন্দুরা “সংখ্যালঘু” তকমা পে’তে পা’রে! আলোচনায় ব’স’তে চলেছে কেন্দ্র

কেন্দ্রীয় সরকার অনেক আগেই জানিয়েছিল যে, হিন্দুদের ‘সংখ্যালঘু’ মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে দায়িত্ব দিয়েছে তারা।

এবার এই মামলায় নয়া এক হলফনামায় কেন্দ্রের তরফে জানানো হল যে বিভিন্ন রাজ্য এবং এই মামলার সঙ্গে যুক্ত পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে হিন্দুদের ‘সংখ্যালঘু’ তকমা দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে।

এর আগে এই মামলায় কেন্দ্রের অবস্থান ছিল, রাজ্যই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে এবার খানিকটা অবস্থান পালটে রাজ্যগুলির সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনার টেবিলে বসার কথা বলল কেন্দ্রীয় সরকার।

আরো পড়ুন: অশনির প্র’ভা’বে ওড়িশা-অন্ধ্রপ্রদেশে ভা’রী বৃষ্টিপাত, ব্যা’হ’ত বিমান পরিষেবা

কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে যে কেন্দ্রীয় সরকার খ্রিস্টান, শিখ, মুসলিম, বৌদ্ধ, পার্সি এবং জৈন নামে ছয়টি সম্প্রদায়কে জাতীয় স্তরে সংখ্যালঘু হিসাবে অবহিত করেছে।

রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে হিন্দুদের একটি ধর্মীয় বা ভাষাগত সংখ্যালঘু হিসাবে অবহিত করতে পারে যদি সেখানে হিন্দুরা সংখ্যায় কম থাকে। উদাহরণ স্বরূপ কেন্দ্র বলে, ২০১৬ সালে মহারাষ্ট্র সরকার ইহুদিদের সংখ্যালঘু মর্যাদা দিয়েছিল।

কর্ণাটক সরকার উর্দু, তেলেগু, তামিল, মালায়লাম, মারাঠি, টুলু, লামানি, হিন্দি, কোঙ্কনি এবং গুজরাটিকে সংখ্যালঘু ভাষা তকমা দিয়েছিল।

আরো পড়ুন: চীন লাদাখে সী’মা’ন্ত ইস্যুকে বাঁ’চি’য়ে রাখতে চা’য়, বললেন সেনাপ্রধান মনোজ পান্ডে

প্রতিটি রাজ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের শ্রেণী ভাগ করার জন্য একটি পিটিশন জমা দিয়েছিলেন দিল্লির বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়।

এই প্রেক্ষিতে একটি আবেদন দায়ের করে ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটি এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশনস (এনসিএমইআই) অ্যাক্ট ২০০৪-এর ধারা ২(এফ)-এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। এই ধারা অনুযায়ী পাঁচটি ধর্মীয় সম্প্রদায় – মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ এবং পার্সি সংখ্যালঘু তকমা পায় দেশে।