সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পেটে য’দি ব্যাথা হয় কিভাবে বু’ঝ’তে পারবেন যে এটি অ্যাপেন্ডিসাইটিস?

অ্যাপেন্ডিক্স আমাদের শরীরে ক্ষুদ্রান্ত্রের শেষে এবং বৃহদন্ত্রের শুরুতে অবস্থিত। এটির ব্যাস আমাদের অন্ত্রের তুলনায় অনেক কম। অন্ত্রের সাপেক্ষে অ্যাপেন্ডিক্সের অবস্থানের বিভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।

কিছু অবস্থানের ভিত্তিতে অ্যাপেন্ডিক্স প্রদাহ বেশি মাত্রায় হয়। মূলত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণই অ্যাপেন্ডিক্সের প্রদাহের কারণ। আর এই প্রদাহকেই অ্যাপেন্ডিসাইটিস বলা হয়। যদি সময়মতো এই রোগের চিকিৎসা না করা হয় তাহলে অ্যাপেন্ডিক্সের প্রদাহ আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে আরও অনেক মারাত্মক জটিলতা তৈরি হতে পারে।

আপনার খাদ্যাভ্যাস কেমন বা জীবনযাপন কিভাবে করছেন তার সঙ্গে এর কোনো যোগ নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিছু অবস্থানের অ্যাপেন্ডিক্সের প্রদাহ হয়। তবে এখানেও কোনো নিশ্চয়তা নেই। অর্থাৎ অ্যাপেন্ডিসাইটিস কার হওয়ার আশঙ্কা বেশি, তা বলা খুবই মুশকিল।

আরো পড়ুন: এই ৪ রাশির উপর ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ স’র্ব’দা ব’জা’য় থা’কে, জেনে নিন

অ্যাপেন্ডিসাইটিসের কী কী লক্ষণ থাকে চলুন তার একঝলক দেখে নেওয়া যাক –

১) তীব্র পেটে ব্যথা, যা অ্যাপেন্ডিসাইটিসের প্রধান লক্ষণ।

২) পেটের ডান পাশের নিচের দিকে বেশি ব্যথা হয়। তবে অ্যাপেন্ডিসাইটিস ছাড়াও বিভিন্ন কারণে পেটের ডান পাশে ব্যথা হতে পারে।

৩) সেই সঙ্গে বমি ও জ্বর হতে পারে।

যেহেতু অ্যাপেন্ডিসাইটিস ঠিক কি কারণে হয় তা বলা মুশকিল, তাই এটিকে সেভাবে প্রতিরোধ করা যায়না বললেই চলে। তবে এক্ষেত্রে সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত এবং সুস্থ জীবনযাপন করা উচিত।

তবে অ্যাপেন্ডিসাইটিস হতে পারে এমন আশঙ্কা বুঝতে পারলে সত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আপনার আদৌ অ্যাপেন্ডিসাইটিস হয়েছে কিনা তা মূল্যায়ন করা যায় রক্ত পরীক্ষা, আলট্রাসোনোগ্রামের মাধ্যমে।

অ্যাপেন্ডিসাইটিস ও এই সংক্রান্ত জটিলতা থেকে মুক্তির জন্য সার্জারি একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি। আর তার জন্য উপযুক্ত পরীক্ষা ও মূল্যায়নের পর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের দ্রুত পরামর্শ নেওয়া উচিত।