সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মানুষের ম’তো দেখতে মাছ! হিং’স্র এই মাছ দে’খে সমুদ্র থেকে সৈকতে ফিরছেন অন্ধ্রের মৎস্যজীবীরা

পৃথিবীতে বসবাসকারী বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত। এরকমই এক পেশা হল মাছ ধরা। কিন্তু জেলে পেশাটা একটু অন্যরকম। সেখানে উপার্জনের কোনো নিশ্চয়তা নেই।

কখনও মাছ ধরতে গিয়ে রঙ-বেরঙের মাছে তাঁদের নৌকা ভরে, কখনও আবার শূন্য হাতে ফিরে আসে তারা। আর মাঝেমধ্যেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখিও হতে হয়।

এছাড়াও সমুদ্রের বুকে মাছ ধরার পাশাপাশি নানান রহস্যময় ঘটনাও তাঁরা দেখতে পায়। আর এমন কিছু জিনিস তারা দেখতে পায় যেগুলো বাস্তবে সত্যিই বিরল। আর সেই কারণেই যেসব জেলেরা সমুদ্রে মাছ ধরে, তাদের জীবন একদিকে যেমন অ্যাডভেঞ্চারাস, তেমনই বিপদসঙ্কুল।

আরো পড়ুন: মুখ একদম কড়াতের ম’তো, ভ’য়া’ন’ক দেখতে মাছ মৎস্যজীবীদের জা’লে ধ’রা পড়লো

কখনো তারা বৃহদাকার দৈত্যের মতো মাছ দেখতে পায় তো কখনো সমুদ্রের অনেক গভীরে তীক্ষ্ণ হুঙ্কার শুনতে পায়। আবারকখনও একেবারে অচেনা আকারের বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীর সাক্ষাৎও পেয়ে থাকে তারা।

সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার একদল জেলে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে এক ভয়ঙ্কর মাছ দেখতে পান। এই মাছের চেহারা ভিন্ন রকমের। কারণ মাছটি দেখতে হুবহু মানুষের মতো।

আর এই অদ্ভুত মাছের সাক্ষাৎ পেতেই জেলেদের মধ্যে এই বিষয় নিয়ে তীব্র আলোচনা শুরু হয়েছে। জেলেরা রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছেন। ওই মাছের এমন বিকট রূপ দেখে আশপাশের গ্রামের স্থানীয় জেলেরা আঁতকে উঠেছেন। চারপাশের গ্রামে এ খবর ছড়িয়ে যেতে বেশি সময় লাগেনি।

এ প্রসঙ্গে গ্রামবাসীদের বক্তব্য, সারা জীবনে এমন অদ্ভুত প্রজাতির মাছ কখনও কেউ দেখেননি। ওই গ্রামের কর্মকর্তারা বলেছেন, মাছটি অতি বিপজ্জনক এবং এটি যে কোনো মানুষকে হত্যা করতে পারে।

আরো পড়ুন: বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জনপ্রিয় সিরিয়াল “অপরাজিতা অপু”, শে’ষ কবে টিভিতে সম্প্রচার হ’বে জেনে নিন

তাছাড়া এই মাছটি র শরীরে তীব্র বিষ থাকে, তাই এটি খাওয়াও উচিত নয়। জানা গেছে এই মাছের বিভিন্ন নাম রয়েছে – যেমন ‘বেলুন ফিশ’, ‘পাওয়ার ফিশ’, ‘গ্লোব ফিশ’। এই মাছের বিজ্ঞান সম্মত নাম ‘টেট্রাওডন’ (Tetraodon)।

জাপানে লাইসেন্সপ্রাপ্ত শেফরাই এই মাছ রান্না করেন। এই মাছ রান্নার বিভিন্ন উপায় আছে। তাঁরা এর শরীরের ওপরে থাকা টক্সিক অংশটি সরিয়ে একে বিষমুক্ত করে তবেই রান্না করেন। জাপানি সরকার এই মাছটিকে নিষিদ্ধ করলেও জাপানের মানুষ আজও এই মাছটিকে গোপনে খান।