সম্প্রতি জানা যাচ্ছে ভোপালের মৌলানা আজাদ ন্যাশানাল ইনস্টিটিউড অফ টেকনলজি কলেজে অনলাইনে ক্লাস করানো হচ্ছে। এখন করোনা মহামারী অতটা আর বেশি নেই তাই সব কলেজেই অফলাইনেই ক্লাস হয়। কিন্তু ভোপালের এই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কেনো হটাৎ করে অনলাইন ক্লাস হচ্ছে? আর সেটা জানতে গিয়ে যা জানা গেছে তাতে সকলেই কিছুটা অবাক হয়ে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে এই কলেজের ক্যাম্পাসে নাকি বাঘ দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
কলেজের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখার পর থেকেই এই কলেজে অফলাইন ক্লাস করার কথা ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে।
কলেজ রেজিস্ট্রার বিনোদ দোলে বলেন, “বন দফতরের আধিকারিকরা বাঘের পাগমার্ক দেখতে পাওয়ার কথা জানালে অনলাইনে ক্লাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।” কিন্তু এই কলেজ ক্যাম্পাসেই প্রায় ১০০ একর এলাকা ঘন ঝোপঝাড়ে আবৃত।
সেখানের মধ্যেই শিক্ষক, কর্মচারী এবং তাঁদের আত্মীয়দের সংখ্যা প্রায় ১০০০ এবং ৫০০০ হস্টেলবাসীকে রাতে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। তাঁদের বাইরে বেরোনো বিশেষ করে রাতে একেবারেই নিরাপদ নয়। বিনোদ দোলে আরও বলেন, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্যাম্পাসে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: শৈশবকে ঠি’ক’ম’তো উপভোগ করতে এই গ্রামে ব’ন্ধ টিভি-মোবাইল
তবে বনদফতরের কর্মীরা আশাবাদী যে, এক বা দু-দিনের মধ্যে বাঘটি নিজেই ক্যাম্পাসের বাইরে চলে যাবে। ভোপাল বিভাগীয় বনকর্তা (ডিএফও) অলোক পাঠক বলেন, বনবিভাগ চায় বাঘ, সম্ভবত দুই বছর বয়সী বন্য বিড়াল সাধারণত বেরিয়ে আসে এবং রায়সেন ও সেহোরে জেলায় ছড়িয়ে পড়া রাতাপাণি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য থেকে বন্য বিড়ালগুলি এখন কেরওয়া বাঁধ এলাকায় যেতে শুরু করেছে।
কিন্তু এই বিষয়টি মোটেই সহজ ভাবে নিচ্ছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ। কারণ বিহারের চম্পরণে কদিন আগেই একটি বাচ্চা মেয়েকে ঘুমন্ত অবস্থায় বাঘে তুলে নিয়ে চলে যায় তাঁর বাড়ি থেকে। পুলিশ সূত্রে জানিয়েছেন, বুধবার রাত ১২ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে ৷ বাঘে তাঁর মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পরিবারের অন্য সদস্যরা বিষয়টি বুঝতে পারে ৷
তাঁরা হইচই করলে বাড়ির অদূরে বাগদির দেহ ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় বাঘটি। তাই কলেজে যতোটা নিরপত্তা দেওয়া সম্ভব তাঁরা দিচ্ছেন। যাতে আর কারো প্রাণ না যায়। আর বাঘটিকেও ধরতে পারে বন বিভাগের কর্মীরা।