করোনার জন্য স্কুল কলেজ দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ। স্কুলে যাওয়া আসা নেই। তাই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সবুজ সাথী প্রকল্পের আওতায় প্রাপ্ত সাইকেলও এখন কার্যত অনাদরে পড়ে রয়েছে বাড়িতে। অপরপক্ষে মানুষের অর্থনৈতিক সংকটও বেড়েছে। ঠিক এই কারণেই নাকি হাজার হাজার সাইকেল জলের দরে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে অন্যত্র। সবুজ সাথী প্রকল্পের আওতায় প্রাপ্ত সাইকেলের গতি হচ্ছে এই ভাবেই! এমনই ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে আসছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
করোনা মহামারী মানুষের রুজি রোজগারের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন জোগাড় করতেই হিমশিম খাচ্ছেন তারা। এই পরিস্থিতিতে যখন স্কুল-কলেজ বন্ধ, তখন আর সাইকেল দিয়ে কি হবে? এই চিন্তা ভাবনা থেকেই জলের দরে সাইকেল বেচে দিয়ে সেই অর্থ দিয়ে সংসার খরচ চালানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের পরিবারগুলো।
আনন্দ দাস নামের এক ফেরিওয়ালার থেকে জানা গেল, রায়গঞ্জ শহরে ফেরি করার সময় মাত্র ২৫০ টাকার বিনিময়ে একটি সাইকেল কিনে ছিলেন তিনি। ২৫/৩০ টাকা লাভ রেখে তিনি তার মহাজনের কাছে সাইকেলটি বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। এর পরেই দেখা যায় সেটি সবুজ সাথী প্রকল্পের আওতায় প্রাপ্ত একটি সাইকেল। ওই ফেরিওয়ালা জানিয়েছেন, ইদানীং তিনি এমন বহু সাইকেল পাচ্ছেন।
অভিভাবকদের দাবি, লকডাউনে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ। কাজের জন্য বাইরে কোথাও যেতে পারছেন না তারা। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। এমতাবস্থায় মেয়ের সাইকেল তো বাড়িতে থেকে নষ্টই হচ্ছে। তাই সেই সাইকেল বেচে দিয়ে যতটা সম্ভব সংসারের সুরাহা করার চেষ্টা করেছেন তারা।