সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

শৈশবকে ঠি’ক’ম’তো উপভোগ করতে এই গ্রামে ব’ন্ধ টিভি-মোবাইল

আমাদের সহজ সরল জীবন যাপন এখন অনেক বেশি জটিল হয়ে গিয়েছে। আমরা আজকাল মানুষের সাথে দু দন্ড বসে কথা বলার থেকে টিভি দেখে মোবাইলে সময় কাটতেই বেশি পছন্দ করি। কিন্তু এর ফলে মানুষের প্রতি মানুষের আকর্ষন বা টান কমে যাচ্ছে। বিশেষ করে পরিবারের মানুষগুলোর সাথে। বাবা মার সাথে বসে গল্প করার দিন যেনো এখন শেষ হতে বসেছে।

আর এই অবনতি রুখতে বা পারিবারিক বন্ধন থেকে শুরু করে সামাজিক বন্ধন বাড়াতে এক অভিনব প্রচেষ্টা করেন কর্ণাটকের একটি ছোট গ্রাম। সেখানের পঞ্চায়েত থেকে ঘোষণা করা হয় প্রতিদিন দু ঘণ্টার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময়ে ওই গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষকে মোবাইল ফোন ও টিভি বন্ধ রাখতে বলা হচ্ছে। ওই সময় টুকু পরিবারের সাথে সময় কাটায় বা বাইরের লোকের সাথে সময় কাটান কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া বা টিভি নয়।

কর্নাটকে মহারাষ্ট্র সীমানা লাগোয়া ছোট গ্রাম আথানির সাংলির ভাদগাঁওয়ের বাসিন্দাদের মতে, মোবাইল ফোন এবং টিভির দাপটে ক্রমেই পরস্পরের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে মানুষ। কমছে সামাজিক যোগাযোগ, পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা। এর ফলে মানুষের বিপদে মানুষের এগিয়ে আসতে আর মানুষকে দেখা যায়না। একটু খোঁজ খবর নেওয়ার মতো ঘটনাগুলি দিন দিন কমে যাচ্ছে বলে মনে হয়েছে তাদের। শুধু বড়রা নয় ছোটো শিশুদের মধ্যেও এর প্রভাব পড়েছে।

আরো পড়ুন: নিজের বাড়িতে রা’ই’ফে’ল দিয়ে কঙ্গনার “শস্ত্র পুজো”, সেনাবাহিনীর জওয়ানদের জন্য প্রা’র্থ’না অভিনেত্রীর

অনেক শিশু খেলা বন্ধ করে দেওয়ায় ফলে তাদের, সুস্থ জীবন ধারণের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে বলে মত গ্রামবাসীদের। এখন ফোন আর গেম খেলার দিকে বেশি নজর সব বাচ্চার। আর এটা আরো বেড়েছে করবার সময়ে অনলাইন ক্লাসের জন্য সকল অভিভাবকরাই তাদের সন্তানকে মোবাইল কিনে দিয়েছেন বা ব্যাবহার করতে দিয়েছেন।

আর সেই থেকেই ওদের মধ্যে ফোন ব্যাবহারের আসক্তি যত দিন গেছে বেড়েই গেছে। তাই এই সব কিছু থেকে একটু সরিয়ে মানুষকে সুস্থ জীবন যাপনের জন্য এই ব্যাবস্থা করা হয়েছে। আর এই ব্যাবস্থাকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। এরকম যদি সব জায়গাতেই করা যেত তাহলে হয়তো সমাজ টা যতোটা বেশি অবক্ষয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাঁর কিছুটা হলেও কম করা যেত।