সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

রাধারানীকে খুশি করতে মহাদেব এই স্তোএ র’চ’না করেছিলেন, মনের কা’ম’না পূরণ ক’র’তে আজই পড়ুন

রাধা ও কৃষ্ণের প্রেমের কথা আমরা সকলেই জানি। তারা প্রেমের প্রতিমূর্তি হিসেবে পূজিত হয় সর্বত্র। এই রাধা-কৃষ্ণের ভালোবাসাকে জীবাত্মা ও পরমাত্মার মিলন বলা হয়ে থাকে। রাধারানি শুধুমাত্র কৃষ্ণের প্রেমিকাই নন, বরং তাঁর আত্মা ও শক্তি স্বরূপা প্রেমের দেবী। সর্বদা কৃষ্ণের নামের আগে রাধার নাম নেওয়া হয়। কারণ মানুষের বিশ্বাস রাধার নামমাত্রেই কৃষ্ণের প্রতিটি শিরা প্রফুল্লিত হয়ে পড়ে।

তাই রাধারানির আশীর্বাদ লাভের জন্য শক্তিশালী ‘শ্রী রাধা কৃপা কটাক্ষ স্তোত্র’ পাঠ করা উচিত। এমনও শোনা যায় যে, এই স্তোত্রের রচয়িতা স্বয়ং শিব। ধর্মীয় ধারণা অনুযায়ী রাধারানিকে তুষ্ট করার জন্য শিব এই স্তোত্র রচনা করে পার্বতীকে শুনিয়ে ছিলেন। এই স্তোত্র অষ্টমী, দশমী, একাদশী, ত্রয়োদশী ও পূর্ণিমা তিথিতে এই স্তোত্র অবশ্যই পাঠ করা অত্যন্ত শুভ।  এই স্তোত্রের মাধ্যমে মূলত শিব রাধারানির শৃঙ্গার, রূপ ও করুণা ব্যখ্যা করেছেন। আসুন এই স্তোত্রটি জেনে নেওয়া যাক।

শ্রী রাধা কৃপা কটাক্ষ স্তোত্র
রাধা সাধ্যম সাধনং যস্য রাধা, মন্ত্রো রাধা মন্ত্র দাত্রী চ রাধা,
সর্বং রাধা জীবনম্ যস্য রাধা, রাধা রাধা বাচিকিম তস্য শেষম।
মুনীন্দবৃন্দবন্দিতে ত্রিলোকশোকহারিণী, প্রসন্নবক্ত্রপংকজে নিকঞ্জভূবিলাসিনী,
ব্রজেন্দভানুনন্দিনী ব্রজেন্দ্র সূনুসঙ্গতে, কদা করিষ্যসীহ মাং কৃপা-কটাক্ষ-ভজানম্ (১)
অশোকবৃক্ষ বল্লরী বিতানমণ্ডপস্থিতে, প্রবালজ্বালপল্লব প্রভারূণাঙ্ঘি কোমলে,
বরাভয়স্ফুরত্করে প্রভূতসম্পদালয়ে, কদা করিষ্যসীহ মাং কৃপা-কটাক্ষ-ভজানম্ (২)
অনঙ্গরঙ্গমঙ্গল প্রসঙ্গভঙ্গুরভ্রুবাং, সুবিভ্রম সসম্ভ্রম দৃগন্তবাণপাতনৈঃ,
নিরন্তরং বশীকৃত প্রতীতনন্দনন্দনে, কদা করিষ্যসীহ মাং কৃপা-কটাক্ষ-ভজানম্ (৩)তড়িত্সুবণচম্পক প্রদীপ্তগৌরবিগহে, মুখপ্রভাপরাস্ত-কোটিশারদেন্দুমণ্ডলে,

আরো খবর: মার্চ মাসে এই চার রাশির লোকেদের হাতে আ’চ’ম’কা টা’কা আসবে! আপনার রাশি কি?

বিচিত্রচিত্র-সঞ্চরচ্চকোরশাবলোচনে, কদা করিষ্যসীহ মাং কৃপা-কটাক্ষ-ভজানম্ (৪)
মদোন্মদাতিযৌবনে প্রমোদ মানমণিতে, প্রিয়ানুরাগরঞ্জিতে কলাবিলাসপণ্ডিতে,
অনন্যধন্যকুঞ্জরাজ কামকেলিকোবিদে, কদা করিষ্যসীহ মাং কৃপা-কটাক্ষ-ভজানম্ (৫)
অশেষহাবভাব ধীরহীর হার ভূষিতে, প্রভূতশাতকুম্ভকুম্ভ কুমিভকুম্ভসুস্তনী,

প্রসস্তমন্দহাস্যচূণপূণসৌখ্যসাগরে, কদা করিষ্যসীহ মাং কৃপা-কটাক্ষ-ভজানম্ (৬)
মৃণালবালবল্লরী তরঙ্গরঙ্গদোলতে, লতাগলাস্যলোলনীল লোচনাবলোকনে,
ললল্লুলমিলন্মনোজ্ঞ মুগ্ধ মোহনাশ্রয়ে, কদা করিষ্যসীহ মাং কৃপা-কটাক্ষ-ভজানম্ (৭)

সুবর্ণ্মালিকাঞ্চিতে ত্রিরেখকম্বুকণ্ঠগে, ত্রিসুত্রমঙ্গলীগুণ ত্রিরত্নদীপ্তিদীধিঅতি,
সলোলনীলকুন্তলে প্রসূনগুচ্ছগুম্ফিতে, কদা করিষ্যসীহ মাং কৃপা-কটাক্ষ-ভজানম্ (৮)
নিতম্ববিম্বলম্বমান পুষ্পমেখলাগুণ, প্রশস্তরত্নকিঙ্কণী কলাপমধ্যমঞ্জুলে,

করীন্দ্রশুণ্ডদণ্ডিকা বরোহসোভগোরুকে, কদা করিষ্যসীহ মাং কৃপা-কটাক্ষ-ভজানম্ (৯)
অনেকমন্ত্রনাদমঞ্জু নূপুরারবস্খলৎ, সমাজরাজহংসবংশ নিক্বণাতিগ,
বিলোলহেমবল্লরী বিডমিবচারূচং কমে, কদা করিষ্যসীহ মাং কৃপা-কটাক্ষ-ভজানম্ (১০)
অনন্তকোটিবিষ্ণুলোক নমপদমজাজিতে, হিমাদিজা পুলোমজা-বিরংচিজাবরপ্রদে,
অপারসিদিবৃদিদিগ্ধ-সত্পদাঙ্গুলীনখে, কদা করিষ্যসীহ মাং কৃপা-কটাক্ষ-ভজানম্ (১১)
মখেশ্বরী ক্রিয়েশ্বরী স্বধেশ্বরী সুরেশ্বরী, ত্রিবেদভারতীয়শ্বরী প্রমাণশাসনেশ্বরী, রমেশ্বরী ক্ষমেশ্বরী প্রমোদকাননেশ্বরী, ব্রজেশ্বরী ব্রজাধিপে শ্রীরাধিকে নমোস্তুতে। (১২)

ইতীদমতভূতস্তবং নিশম্য ভানুনন্দিনী, করোতু সন্ততং জনং কৃপা কটাক্ষ ভজানম্,
ভবেত্তাদৈব সঞ্চিত-ত্রিরূপকমনাশনং, লভেত্তাদব্রজেন্দ্রসূনু মণ্ডলপ্রবেশনম্। (১৩)