বর্তমান সময়ে আমরা যে প্রাচীন কালের ইতিহাস পড়ে প্রাচীনকাল সম্পর্কে জানতে পারি সেগুলো সমস্ত কিছুই প্রত্নতত্ত্ববিদদের জন্য, কারণ তারা নানান ঐতিহাসিক জায়গায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রাচীনকালের তথ্যকে আমাদের সামনে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হন।
এরকম ভাবে এই মালাগনা সংস্কৃতি সম্পর্কেও আমরা জানতে পেরেছি। জানা গেছে কোন এক সময়ে কলম্বিয়ার ককা উপত্যকায় কিছু কৃষক আখের চাষ করেছিলেন, সেখানে হঠাৎ করে একজন যখন মাটিতে ট্রাক্টর চালাচ্ছিলেন সেই সময় হঠাৎই একটি জিনিসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে ট্রাক্টরের।
সেই কৃষক ট্রাক্টর থেকে নেমে মাটি খুড়ঁতে আরম্ভ করলে বেরিয়ে আসে সোনার একটি মুখোশ ।তার সঙ্গেও কিছু প্রাচীন। কালের জিনিসপত্র। জানা গিয়েছে এই সোনার মুখোশের জন্য অনেক লুটপাট এবং খুন হয়েছিল।
আরো পড়ুন: কুকুর মায়ের স্নেহে ব’ড়ো হ’চ্ছে তিন বাঘ শাবক, ভাইরাল ভিডিও
যে কৃষক এই সোনার মুখোশটি প্রথমে খুঁজে পেয়েছিলেন সেই নিজের কাছে এটি রেখেছিলেন যদিও এত বড় একটি খবর কখনো চাপা থাকেনা। খবর চারিদিকে ছড়িয়ে যাওয়ার পরই প্রত্নতাত্ত্বিকরা এই জমিটিকে অধিকার করে নেন।
বহু প্রাচীন সভ্যতা মালাগনা। ১৯৯২ সালে প্রথম এই জায়গাটি থেকে ঐতিহাসিক কিছু তথ্য উঠে আসে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা মাটি খোড়াখুড়ি করে পান কিছু জিনিসপত্র যেগুলো মনে করা হয়েছিল অভিজাত সম্প্রদায়ের মানুষদের ব্যবহারের জিনিস।
যদিও পরবর্তীকালে ১৯৯৩ সালে এই জায়গাটি জুড়ে লুটপাট চলে তবে বর্তমানে এই জায়গাটি সম্পূর্ণই প্রত্নতত্ত্ববিদরা নিজেদের অধীনে রেখেছেন।