সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

দেড় ঘন্টায় ২২ পে’গ ম’দ, এরপর ওই ব্যক্তি কি করলেন? জানলে অ’বা’ক হবেন

আমাদের সকলের বাড়িতেই বড়রা আমাদের বলে থাকেন আনন্দ মজা করা ভালো কিন্তু সেই আনন্দ যেনো নিরানন্দে পরিণত না হয় বা দুঃখের কারণ না হয়। কথাটা বেশিভাগ মানুষই গুরুত্ব দেয় না কিন্তু কথাটি ভীষন সত্যি কথা। সোশ্যাল মিডিয়া মারফত জানা যাচ্ছে যে, কিছু বন্ধু মিলে এক ব্যাক্তি এক নাইট ক্লাবে যান। সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে নাইট ক্লাবে আনন্দ করতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি হয় সেই ব্যক্তির।

বাজি ধরে মদ খেতে গিয়ে শেষ হয়ে গেল জীবনটাই। যেই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে সামনে আসার পর অবাক হয়েছেন অনেকেই। এটা প্রায়ই দেখা যায় যে বন্ধুরা এক জায়গায় হলে আড্ডা, গল্প, নানা বিষয়ে বাজি ধরা, মদ্যপান করে থাকেন অনেকে কিন্তু এই ব্যক্তি বন্ধুদের সঙ্গে নাইটক্লাবে আনন্দ করতে গিয়ে বাজি ধরে যে কাণ্ড ঘটালেন তা সত্যিই অকল্পনীয়।

জানা যাচ্ছে, ৯০ মিনিটে ২২ পেগ মদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। জোট দুর জানা যাচ্ছে ঘটনাটি ঘটেছে পোল্যান্ডের ক্রাকোতে। স্থানীয় গোপনীয়তা রক্ষা আইনের কারণে ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি। ওই ব্যক্তি নিজের বন্ধুদের সঙ্গে ওয়াইল্ড নাইটস নামে একটি ক্লাবে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে মদ্যপান করেন।

আরো খবর: রাম নবমীতে রাজ্যে হিং’সা’র ঘ’ট’না’র তদন্তভার NIA-র হাতে, রা’য় দি’লো কলকাতা হাইকোর্ট

একটা সময় পর বন্ধুরা ও নাইট ক্লাবে উপস্থিত অন্যান্যদের সঙ্গে বাজি ধরে কত বেশি মদ খেতে পারেন সেই চ্যালেঞ্জ লড়েন। মাত্র ৯০ মিনিটের মধ্যে ২২ পেগ মদ খেয়ে ফেলেন তিনি। এরপর ওখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

শুধু তাই নয় এটি ইচ্ছাকৃত ভাবে প্ল্যান করে তাঁকে মারা হয়েছে বলেও মনে করছেন পুলিশ। মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে আসে ওই ব্যক্তির শরীরে ০.৪ শতাংশ অ্যালকোহল ছিল। যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এই পরিমাণ অ্যালকোহলকে প্রাণঘাতি হয়ে থাকে।

এছাড়া ওই ব্যক্তি মদ্যপান করে সংজ্ঞাহীন হওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে ৪২০ পাউন্ড লুঠ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। গোটা ঘটনায় পুলিস তদন্ত শুরু করেছে ওই নাইট ক্লাবের আধিকারিক, মৃত্য ব্যক্তির বন্ধু সহ নাইট ক্লাবের উপস্থিত মোট ৫৮ জনকে অভিযুক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এটি কোনো প্রিপ্লান কিনা সেই।নিয়েও আশঙ্কা করছেন পুলিশ।