সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মানুষের নয়া পূর্বপুরুষের হ’দি’শ মি’ল’লো না’কি? লক্ষ বছর আগের শিশুর দাঁত পেলেন বিজ্ঞানীরা

কতকিছুই না খুঁজে পাওয়া যায় এই পৃথিবীতে যা আমাদের চোখের সামনে আরো একবার উন্মোচন করে দেয় ইতিহাস। কেমনি লাওসের একটি গুহায় সম্প্রতি এক লক্ষ 30 হাজার বছরের পুরনো একটি মানুষের দাঁত খুঁজে পাওয়া গেল।

প্রাথমিকভাবে এটি একটি শিশুর দাঁত বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার একটি গবেষণায় জানানো হয়েছে, উদ্ধার করা এই দাঁত মানুষের বিবর্তন সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের আরও অনেক তথ্য দিতে সাহায্য করবে। এই দাঁত মানুষের পূর্বপুরুষ ডেনিসোভান প্রজাতির। এই প্রজাতির মানবজাতি বিলুপ্ত একটি শাখা।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উষ্ণ ক্রান্তীয় অঞ্চলে এই প্রজাতির মানুষের বসবাস ছিল বলে জানা গেছে। মানবজাতির বিরক্ত আর একটি শাখা নিয়ান্ডার্থালদের সঙ্গে এই শাখার সম্পর্ক ছিল। যদিও এই শাখা সম্পর্কে খুব কম তথ্য রয়েছে বিজ্ঞানীদের হাতে।

আরো পড়ুন: অবশেষে চা’লু হ’চ্ছে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী এক্সপ্রেস, জেনে নিন তারিখ

2010 সালে সাইবেরিয়ার গুহায় কাজ করার সময় এই শাখার খোঁজ পান গবেষকরা। এর আগে এই শাখা বিষয়ে বিজ্ঞানীদের তেমন কোন ধারণা ছিল না। গুহার মধ্যে এক মহিলার আঙ্গুলের হাড় খুঁজে পাওয়ার পর প্রথমেই শাখার খোঁজ নিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।

সাইবেরিয়ার ডেনিসোভ গুহায় প্রথম সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল মানুষের পূর্বপুরুষদের এই প্রজাতির। শুধুমাত্র আঙ্গুলের হাড় এবং ছোট একটি দাঁতের গঠন দেখে বিজ্ঞানীরা পুরো জাতি সম্পর্কে একটি মোটামুটি ধারণা করে ফেলেছেন।

তিব্বত মালভূমি তে একটি চোয়ালের হাড় খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল 2019 সালে, যেটি এই শাখার বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।গবেষকরা মনে করছেন এই প্রজাতির কিছু মানুষ আমাদের প্রতিবেশী দেশ চীনে বসবাস করত।

এই প্রজাতির মানুষের অদৃশ্য হবার আগে কিছু কিছু চিহ্ন রেখে গেছে যার খোঁজে এতদিন বিজ্ঞানীদের কাছে ছিল না।অস্ট্রেলিয়ান এবং পাপুয়া নিউগিনির অধিবাসীদের কাছে মানুষের পূর্বপুরুষদের ডিএনএর 5 শতাংশ পর্যন্ত রয়েছে।দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানুষের সঙ্গে এই পূর্বপুরুষদের যোগাযোগ ছিল বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।

তিব্বত পর্ব থেকে দূরে এশিয়া মহাদেশের একটি অংশে এই প্রজাতির উপস্থিতির কোন প্রমাণ নেই। তবে এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয় যখন বিজ্ঞানীদের একটি দল উত্তর-পূর্ব লজের একটি গুহায় অনুসন্ধান শুরু করেন এবং 2018 সালে এই গুহার মধ্যে এই দাঁত খুঁজে পাওয়া যায়।

দাঁতের বাইরের অংশে প্রোটিন পরীক্ষা করার পর গবেষকরা জানিয়েছেন, এই দাঁত খুব সম্ভবত সাড়ে তিন থেকে সাড়ে 8 বছর বয়সী এক নাবালিকার। তাপ এবং আর্দ্রতার কারণে এই দাঁতের ডিএনএ অনেকাংশেই নষ্ট হয়ে গেছে।