সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সামনেই ৩১ মার্চ, ৮০সি ধা’রা’য় ১.৫ লক্ষ টা’কা আয়কর বাঁ’চা’ন!

আয়কর জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ মার্চ। ১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবর্ষ। এই মুহূর্তে হন্যে হয়ে ট্যাক্স বাঁচানোর উপায় খুঁজছেন অনেকেই। এর অনেকগুলি বিকল্প রয়েছে। তবে ১৯৬১ সালে লাগু হওয়া ৮০সি এবং ৮০ডি ধারাই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।

এখানে এই দুটি ধারার পাশাপাশি আয়কর বাঁচানোর অন্যান্য বিভাগগুলির সুলুকসন্ধানও এখানে বিস্তারিত জেনে নিন।

১। ধারা ৮০সি বিভাগের অধীনে একজন করদাতা ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় দাবি করতে পারেন। জীবন বিমা, ব্যাঙ্কে ট্যাক্স সেভিংস এফডি, জাতীয় পেনশন স্কিম, পিপিএফ, এনএসসি, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, ইএলএসএস ইত্যাদির মাধ্যমে এই ছাড় পাওয়া যায়।

এর আওতায় আরও দুটি বিষয় আসে। প্রথমত, দুই সন্তান পর্যন্ত স্কুল বা কলেজের ফি-তে ছাড় এবং দ্বিতীয়ত হোম লোনের অংশে ছাড়। এর মধ্যে একটি বা একাধিক বিষয়ের মাধ্যমে করদাতা এক অর্থবর্ষে দেড় লক্ষ টাকা ছাড় দাবি করতে পারেন।

২। ধারা ৮০ডি মেডিক্লেম পলিসিতেও কর ছাড় পাওয়া যায়। আয়করদাতা নিজের, তাঁর পত্নী এবং সন্তানের স্বাস্থ্য বিমা করালে সেই বিমা প্রিমিয়ামের পরিমাণের উপর করছাড়ের দাবি করা যায়।

আরো পড়ুন: ক’রো’না’র চতুর্থ ঢেউ কি ভারতে আসবে? ফের কি হবে ল’ক’ডা’উ’ন? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

এজন্য এক অর্থবর্ষে ২৫ হাজার টাকা সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই ছাড় ৫৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ করদাতা যদি বয়স্ক মা-বাবার জন্য স্বাস্থ্য বিমা কেনেন তাহলে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কর ছাড়ের দাবি করতে পারেন। এছাড়া স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বার্ষিক ৫ হাজার টাকা খরচের ক্ষেত্রেও ছাড় দাবি করা যায়।

৩। ধারা ৮০সিসিডি(১বি) ২০১৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে ৮০সিসিডি-তে সংশোধন করা হয়েছিল। একে সাব সেকশন (১বি) বলা হয়। এর অধীনে, একজন আয়করদাতা অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা ছাড় দাবি করতে পারেন। এটি বেতনভোগী এবং স্ব-নিযুক্ত উভয়ের জন্য প্রযোজ্য। এটা ৮০সিসিডি ধারার অধীনে ছাড়কে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়।

আরো পড়ুন: টা’কা’য় এই বাঁ’কা লাইন কেন থাকে? কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

৪। ধারা ৮০সিসিডি(২) সুবিধা শুধুমাত্র চাকুরিজীবীদের জন্য। নিয়োগকর্তা যদি কর্মচারীকে এনপিএস-র সুবিধা দেয় তাহলে এই ছাড় মেলে।

এই ধারার আওতায় একজন ব্যক্তি তাঁর মূল বেতনের ১০ শতাংশ পর্যন্ত করছাড় দাবি করতে পারেন। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী হলে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত এই ছাড় মিলবে। তবে এই বছরের বাজেটে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্যও এই ছাড় বাড়িয়ে ১৪ শতাংশ করা হয়েছে।