আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা একটি মহিলার বিরুদ্ধে এনেছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, যিনি কিনা ক্রিপ্টোকুইন তবে তাকে খুঁজে পাওয়া বেশ দুষ্কর কারণ এই মহিলা হাওয়া হয়ে যাওয়ার পর থেকে তাকে ধরতে সক্ষম হয়নি এফবিআই।
বৃহস্পতিবার এফবিআইয়ের মোষ্ট ওয়ান্টেডের ১০ জনের তালিকায় এবার রয়েছে এই ক্রিপ্টো কুইন মহিলার নাম। এই ক্রিপ্টোকুইন নামে পরিচিত মহিলার পোশাকি নাম হল রুজা ইগনাতোভা। যার বিরুদ্ধে জার্মানির কোটি কোটি ডলার লুঠ করার অভিযোগ রয়েছে।
বলা হয়েছে এই মহিলার তথ্য যে দিতে পারবে তাকে দেওয়া হবে এক লক্ষ ডলার পুরস্কার ভারতীয় মুদ্রায় মূল্য ৭৯ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। তবে ইতিমধ্যে ও আমেরিকায় যে কেউ গোয়েন্দারা এই ক্রিপ্টোকুইনকে’ পাকড়াও করতে পারেননি।
এই ক্রিপটকরিনে বয়স প্রায় ৪৬, জন্ম হয়েছিল বুলগেরিয়ার সোফিয়া রুজার বয়স যখন দশ বছর সেই সময় তাঁর পরিবার তাকে নিয়ে জার্মানির শ্রামবারগ শহরে আসে।
এরপরে সেখানেই রুজার পড়াশুনো চলে। গোয়েন্দাদের মতে এই রুজা অন্যান্য অপরাধীদের মতো নয় বরং তিনি ভীষণ উচ্চ শিক্ষিত এবং আইন বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন।
রোজা ২০০৫ সালে জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাইভেট ইন্টারন্যাশনাল ল পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। ২০১২ সালের রোজার কারাবাস হয়েছিল এবং কারাবাস থাকাকালীন অবস্থায় তিনি অপরাধ জগতে প্রবেশ করেন বলেই মনে করছেন একাধিক গোয়েন্দারা।
এরপরই তিনি ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটিং সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা করেন যার ফলে তার বিরুদ্ধে ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটিং সম্পর্কে প্রতারণা অভিযোগ ওঠে।
গোয়েন্দারা দাবি করে জানিয়েছেন ২০১৪ সালে ওয়ান কয়েনে বিনিয়োগ করার কথা বলেন প্রচুর মানুষকে এবং যার ফলে প্রচুর বিনিয়োগকারীর ক্রিপ্টোকারেন্সি সংস্থার সঙ্গে যোগ দিতে থাকেন।
তবেই ক্রিপ্টোকারেন্সি শেয়ার বাজারের সঙ্গে কোন ভাবেই যুক্ত ছিল না। আসলেই ওয়ান কয়েন ছিল ক্রিপ্টোকারেন্সি ছদ্মবেশে থাকা একটি পঞ্জি স্কীমস যেটার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের টাকা লুট করেছেন রুজা। গোটা বিশ্ব বাজারে রুজার নাম ছড়িয়ে পড়ে।