করোনাকালে চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার পরিসেবা না পেয়ে অনেকেই বেসরকারি হাসপাতালে দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছিলেন। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলো লাগামছাড়াভাবে বিল নিতে শুরু করে বেসরকারী হাসপাতাল সংস্থাগুলি। এতে কার্যত বিল মেটাতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে রোগীর পরিবারকে। এই সমস্যার সমাধান করতে এবার বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করলো রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন।
সম্প্রতি রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের তরফ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে একটি বিজ্ঞপ্তি। সেখানে বেসরকারি সংস্থায় রেডিওলজিক্যাল এবং প্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষার খরচের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই সীমার উপরে টাকা নিতে পারবে না কোনো সংস্থা। প্রধানত, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে পরীক্ষা নিরীক্ষাগুলির বেশি প্রয়োজন হয়, সেই ক্ষেত্রগুলিকে এই নির্দেশিকার আওতায় আনা হয়েছে।
২০১৭ সালে পাশ হওয়া ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী করণা চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার খরচ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য কমিশনের তরফ থেকে প্রকাশিত নির্দেশিকায় পাঁচ ধরনের রেডিওলজিক্যাল টেস্ট এবং অন্তত ১৫ ধরনের প্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে আজ।
নির্দেশিকা অনুসারে, চেস্ট এক্স রে (পি এ ভিউ)-এর জন্য সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা, সিটি পালমোনারি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি পরীক্ষার সর্বোচ্চ রেট যথাক্রমে ১০ হাজার (৬৪ স্লাইস সিটি স্ক্যান) এবং ১১ হাজার (১২৮ স্লাইস সিটি স্ক্যান) টাকা ধার্য করা হয়েছে।
সোডিয়াম পরীক্ষার খরচ ৪৫০ টাকা, পটাসিয়াম পরীক্ষার খরচ ৪৫০ টাকা, ব্লাড গ্যাস পরীক্ষার খরচ ১৮০০ টাকা, ডি ডিমার পরীক্ষার সর্বোচ্চ খরচ ২৩০০ টাকার বেশি নিতে পারবে না বেসরকারি সংস্থা। ওই নির্দেশিকায় স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, এই বিষয়ে নির্ধারিত অর্থমূল্যের অধিক টাকা রোগীর পরিবার থেকে নিতে পারবে না বেসরকারি হাসপাতাল সংস্থাগুলি।