সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আজাদীর অমৃত মহোৎসব উপলক্ষ্যে একাই ৩০ লক্ষ পতাকা তৈ’রি করলেন ৮৩ বছরের আব্দুল চাচা

আগামী ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস। এই বছর ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে চারিদিকে শুরু হয়ে গিয়েছে ব্যাপক তোড়জোড়। আর তাই ‘স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব’ উদযাপনের জন্য রাজ্যসহ সারা দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে ‘তেরঙা অনুষ্ঠান’-এর আয়োজন করা হবে। এ জন্য রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ নিজের নিজের বিশেষ প্রস্তুতি শুরুতে মনোনিবেশ করেছে।

তারা সবাই এই অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে ব্যস্ত। ঝাড়খণ্ডে আবদুল চাচার বাড়িতে এর অন্যতম সেরা দৃশ্য দেখা গেল। ভারতবাসীর মনে এক অবিস্মরণীয় দিন হল স্বাধীনতা দিবস। আর সেই উপলক্ষেই রাঁচির আবদুল চাচা আজকাল রাজ্য সহ দেশ জুড়ে তুমুল আলোচিত হচ্ছেন।

কারণ ৮৩ বছর বয়সী ঝাড়খণ্ডবাসী আবদুল সাত্তার চৌধুরী ৪২ বছর ধরে তেরঙ্গার কাজ করছেন। বয়সের এই পর্যায়ে এসেও দেশের প্রতি তাঁর আবেগ দেখে সবাই তার কাজের প্রশংসায় মত্ত। এ প্রসঙ্গে আবদুল চাচা বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই প্রচার তেরঙার গর্বে চারটি চাঁদ দিয়েছে।

আরো পড়ুন: ম’র্মা’ন্তি’ক ঘ’ট’না, দীঘার সমুদ্রে স্নান করতে নে’মে কলকাতার এক পর্যটকের মৃ’ত্যু

এই অভিযানের কারণেই তেরঙ্গা তৈরির নির্দেশের কমতি নেই তাঁর। তারা সারা রাজ্য থেকে তেরঙ্গা তৈরির কাজ পাচ্ছে, কিন্তু সময় ও সম্পদের অভাবে কতটা সম্পূর্ণ হবে তা বলা যাচ্ছে না এখনই। তিনি ,তাঁর জীবনের সবচেয়ে সুন্দর পতাকা প্রস্তুত করার জন্য ডাক পেয়েছেন। রাঁচি, খুন্তি, রামগড়, হাজারিবাগ, লোহারদাগা, সিমডেগা, গুমলা জেলায় তেরঙ্গা নিয়ে যেতে হবে তাঁদের”।

আবদুল সাত্তারের পুরো পরিবারই তেরঙ্গা প্রস্তুত করতে এখন বেজায় ব্যস্ত। প্রতিদিন সকালে নামাজ পড়ার পর আব্দুল তার স্ত্রী ফাতমা খাতুনের সাথে তেরঙ্গা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পরিবারের সকল সদস্যকে বিভিন্ন কাজ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁর নাতিও তাঁদের সাথে ত্রিবর্ণ রক্ষায় সাহায্য করে।

তেরঙ্গা তৈরির সময় বিশেষ খেয়াল রাখা হয় যেন এর গর্বে যেন কোনো দাগ না পড়ে ,তেরঙ্গা বানানো আবদুল চাচার কোনো পেশা নয়, বরং এটি তাঁর নেশা। এ প্রসঙ্গে আবদুল চাচার বক্তব্য, তেরঙ্গা বানানো তাঁর কাজ নয়, এটা তাঁর ব্যবসা নয়, দেশের প্রতি তার আবেগ। আবদুল চাচা এ পর্যন্ত ২৫ থেকে ৩০ লাখ পতাকা তৈরি করেছেন। তারা মনে করেন, তেরঙ্গা বানানোর প্রতি বিশেষ আবেগই আবদুল চাচাকে শারীরিকভাবে সুস্থ রেখেছে।