বাঙালিদের কাছে দীঘা সমুদ্র সৈকত একটা আবেগের স্থান। ছোট্ট একটা ছুটি পেলে মনটা ঘুরতে চাইলেই ছুটে চলে যাওয়া হয় কাছাকাছির মধ্যে দীঘায়। দীঘা সমুদ্র সকলেরই পছন্দের হলেও সেখানে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। সমূদ্রের ঢেউ অনেকের প্রাণ নিয়ে নিতে দেখা যায়।
ঠিক সেইরকম একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেলো আজ রবিবারের ছুটির দিনে।কলকাতার এক পর্যটক তাঁর ৫বন্ধু সহ বেড়াতে গিয়েছিলেন দীঘায়। ওল্ড দীঘার একটি হোটেলে শনিবার তারা গিয়ে ওঠেন। সেদিন কেউ তারা সমুদ্রে নামেন নি বলে জানা যায়।
রবিবার সকালে স্নান করতে একাই সি হক ঘাটে নামেন ওই পর্যটক। তাঁর বন্ধুরা ওপরে দাড়িয়ে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর তারা লক্ষ্য করেন ওই পর্যটককে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। তলিয়ে যান ওই পর্যটক।
আরো পড়ুন: বাড়িতে কত টা’কা ক্যাশ ও সোনা রাখা যায়? ইডির হা’ত থেকে বাঁ’চ’তে জেনে নিন
তাঁর বন্ধুরা তাকে দেখতে না পেয়ে তখনই খুঁজতে শুরু করেন। নুলিয়াদের সাহায্যে অনেক খোঁজা খুজির পর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়। তারপর দীঘারই হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মৃত পর্যটকের নাম কল্যাণ দাস। তিনি কলকাতার টালিগঞ্জের বাসিন্দা। বয়স ৪৮ বছর। গোটা ঘটনায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া ওই এলাকায়। বেশ কিছুক্ষন ওই সী হক ঘাটে কাউকে নামতে দেওয়া হয়নি।
দীঘার সমুদ্রে এভাবে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা আজ নতুন নয়। এর আগেও বহু মানুষের প্রাণ গেছে কিন্তু অধিকাংশই নুলীয়াদের সাহায্যে প্রাণে বেঁচে গেছে। কিন্তু আজ শেষ রক্ষা হলো না। সমুদ্র সৈকতে হারিয়ে গেলো কল্যাণ দাসের প্রাণ।
প্রসঙ্গ উল্লেখ্য, আগামী সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সতর্কতা জারি হয়েছে। দীঘা ও তার সংলগ্ন এলাকা গুলোয় ৫০-৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
মৎস্যজীবিদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে। পর্যটকদের তাই সমুদ্রের নামতে মানা করা হচ্ছে। প্রশাসন আরো সতর্ক হয়েছে যাতে আর কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।