সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

চলচ্চিত্র গু’লি’তে মু’ঘ’ল’দের ভি’লে’ন হি’সে’বে দেখা’নো’টা’ই ফ্যা’শ’ন হয়ে উ’ঠে’ছে! অ’ভি’যো’গ কবির খানে’র

চলচ্চিত্রগুলিতে মুঘলদের ভিলেন হিসেবে দেখানোটাই ফ্যাশন হয়ে উঠেছে! অভিযোগ কবির খানের

যুগে যুগে ইসলামিক আক্রমণকারীরা ভারতবর্ষের উপর আক্রমণ চালিয়েছে। ইসলামিক শাসনকালে ভারতের সম্পত্তি লুটতরাজ, ভারতীয় হিন্দু জনজাতির উপর অত্যাচার, জোর করে তাদের ধর্মান্তকরণ, মহিলাদের উপর অত্যাচার সবই চলেছে নির্দ্বিধায়। ঐতিহাসিক সেই প্রেক্ষাপটে কার্যত ভারতের প্রতিটি মানুষ আজও শিউরে ওঠেন। তবে ইসলামিক শাসনকারীদের উপর ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার মনোভাব রাখেন বলিউড পরিচালক কবির খান।

কবির খান মনে করেন, মুঘল বাদশাদের পৈশাচিক রূপ তুলে ধরা হয় বিভিন্ন চলচ্চিত্রে। এই চলচ্চিত্রগুলি তার অত্যন্ত একঘেয়ে বলে মনে হয়। তিনি অভিযোগ করেছেন, এমন চলচ্চিত্র সাধারণত ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করে বানানো হয় না। তিনি আরো বলেছেন, মুঘল শাসকদের পৈশাচিক রূপ তুলে ধরতে হলে গবেষণার ভিত্তিতে উপযুক্ত প্রমাণ সহ তা তুলে ধরা উচিত।

কবির খানের দাবি, মুঘলরা হলো ভারতবর্ষের আদি জাতি নির্মাতা। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার যুক্তি, মুঘলরা ভারতের লুটপাট চালানোর আগে থেকে ভারত ছিল একটি সমৃদ্ধশীল এবং প্রাণবন্ত সভ্যতা। কবীর প্রশ্ন তুলেছেন, যারা মুঘলদের ভিলেন হিসেবে উপস্থাপিত করেন, তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপযুক্ত প্রমাণ তুলে ধরতে হবে। তাদেরই বলতে হবে, কেন তারা মুঘলদের খুনি বলছেন?

কবিরের অভিযোগ, মুঘলদের ভিলেন হিসেবে দেখানোটাই ফ্যাশন হয়ে উঠেছে। যার সঙ্গে ইতিহাসের কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি মনে করেন, ভুল রাজনীতি মানুষের জীবনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। ঠিক একই রকমভাবে মূলধারার এই সিনেমা গুলিও মানুষের জীবনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। পৃথিবীতে আমরা যেভাবে কিছু দেখি, নারী এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি যে দৃষ্টিভঙ্গি রাখি, সেটাই হলো রাজনীতি।