শ্রীলংকার চরম অর্থনৈতিক সংকটের কথা গোটা বিশ্ব জানে। আজ সেখানে মূল্যবৃদ্ধি চরমে উঠেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে বেশ কয়েকশ গুণ। এই পরিস্থিতিতে সংসার চালানোর জন্য দেহ ব্যবসায় নামতে হয়েছে শ্রীলংকার মহিলাদের। রাজধানী কলম্বো শহরে ছাতার মতন গজিয়ে উঠছে নিষিদ্ধ পল্লী।
একসময় যেখানে আয়ুর্বেদিক স্পা চলতো সেখানে এখন মধুচক্রের আসর বসছে। চরম অর্থনৈতিক সংকটের পরিস্থিতিতে পরিবারকে বাঁচাতে এই পেশা বেছে নিয়েছেন মহিলারা। প্রয়োজনীয় সামগ্রী আর ওষুধ কিনতে শরীর বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
বর্তমানে বহু মহিলা তাদের কাজ হারিয়েছেন। পরিবারের খরচ চালাতে এবং সন্তানদের লালন পালন করতে দেহ ব্যবসায়ী নাম লেখাতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। মুদির দোকান থেকে শুরু করে সাধারণ সামগ্রী কেনার জন্য তাদেরকে দেহ ব্যবসা নিতে হয়েছে।
আরো পড়ুন: ভারতে এসে মার্কিন মহিলার অ’দ্ভু’ত কী’র্তি, সব জেনে হ’ত’বা’ক পুলিশ প্রশাসন
গত কয়েক মাসের মধ্যেই শ্রীলংকার বস্ত্র শিল্প লোকসানের মুখে পড়েছে। এই মুহূর্তে বিদেশি রাষ্ট্রগুলো এই দ্বীপ রাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বজায় রাখতে ভরসা পাচ্ছে না। বস্ত্র শিল্পে বড়সড় ছাটাই শুরু হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত একজন মহিলা বলেছেন এই শিল্প থেকে মাসে ২৮০০০ টাকা বেতন পেতেন সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার টাকা বেতন পাওয়া যেত। এখন দেহ ব্যবসায়ী প্রতিদিন ঘরে ১৫ হাজার টাকা আয় করছেন ঐ মহিলা।
পরিবার চালানোর জন্য এর থেকে তার কাছে বিকল্প কোন রাস্তা খোলা ছিল না। দুর্বলতাকেই এখন হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন মহিলারা।