সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সত্যিই কি তাই? বাড়িতে এই শিশুর কান্নার ছ’বি রাখলেই ঘনিয়ে আসে মৃ’ত্যু! ব্যাপারটা কি?

প্রাচীন যুগ থেকে এই অভিশাপ ব্যাপারটি যেন মানুষের মনে একটা আতঙ্কের সৃষ্টি করে থাকে। আসলে সব কিছুই বিশ্বাস অবিশ্বাসের খেলা। প্রাচীনকালের ইতিহাসে মমিদের নিয়ে নানান রকমের গল্প আমরা পড়ে এসেছি যদিও মমি সংক্রান্ত বিষয়ে নানা রকম আতঙ্কের কাহিনী ও রয়েছে। মমি সংক্রান্ত আতঙ্কের কাহিনীর মধ্যে বিশেষ হলো তুতেনখামেনের মমি।

অনেক সময় বিশ্বাস অনুযায়ী বিভিন্ন পাথর কাছে রাখলে না কি বিপদ নেমে আসে জীবনে। তবে শুধুমাত্র যে পাথর কিংবা মমি অশনিসংকেত ডেকে আনে তা কিন্তু নয় অশনিসংকেত ডেকে আনতে পারে এক ক্রন্দনরত বালকের মুখ। সমস্ত ঘটনার সূত্রপাত দা ক্রইং বয় নামের একটি ছবিকে ঘিরে এবং নামটা শুনে মনে হতেই পারে বুঝি হলিউডের কোন হরর মুভি, কিন্তু বাস্তবে সেটা নয় সেকথা দাবি করেছে প্রত্যক্ষদর্শীরাই।

যদিও এই ব্যাপারটিকে অনেকেই নাকচ করে দিতে পারে, তবে আসুন জেনে নেওয়া যাক যে ছবিটিকে কেনই বা সবাই অভিশপ্ত বলে মনে করে। সালটা ১৯৮৫ সালের নভেম্বর মাসে সেই সময় বিভিন্ন জায়গাতে ইউরোপে একটি ছবিকে পড়ানো হচ্ছিল। তখন আতঙ্কিত দা ক্রইং বয় ছবিকে ঘিরে। যদি কেউ বাড়িতে রেখে থাকেন শখ করে তাহলে সেখানে বিপদ নেমে আসবে।

আরো পড়ুন: অ’ভা’ব নিত্যসঙ্গী, তবুও ভাইয়ের সংসারে ফিরেও তা’কা’ন না অমিতাভ বচ্চন

দেখা গিয়েছিল সেই ছবি যেই বাড়িগুলোতে রাখা হয়েছিল তার অধিকাংশ বাড়িয়ে আগুনে পুড়ে গিয়েছিল অথচ বাড়ির সমস্ত কিছু পুড়ে গিয়ে থাকলেও দা ক্রইং বয় ছবিটির একটুও কোনো ক্ষতি হয়নি।

এতেই পরিষ্কার ভাবে বোঝা গিয়েছিল যে আগমন ঘটেছিল ডাক ক্রইং বয়ের। গত শতকের পাঁচ দশক ধরে গোটা বাজারে ইতালি শিল্পী জিওভানি ব্রাগোলিনের আঁকা ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল।

যদিও সেই সময়ে সেই শিল্পী শুধুমাত্র যে সেই বালকের ছবি এঁকেছিলো তা কিন্তু নয় আরো অনেক ক্রন্দনরত বালক-বালিকাদের ছবিও তিনি এঁকেছিলেন। তবে তার আঁকা সমস্ত ছবিগুলোর মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল দা ক্রাইং বয় এর ছবিটি তিন দশকের মধ্যে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল প্রায় পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি। এই ছবিটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জনপ্রিয় হয়েছিল গোটা ইংল্যান্ড জুড়ে তবে আট দশকে এই ছবিটিকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়।

আসলে এই ছবিটিকে নিয়ে ভুতুড়ে কান্ড শুরু হয় ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বরের যখন একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, সেখানে এক দমকল কর্মী দাবি করেছিলেন যে যে ক’টি বাড়িতে আগুন ধরেছিল সেই কোটি বাড়িতেই তিনি দেখতে পেয়েছিলেন দা ক্রইং বয়ের ছবি এবং সেই ছবিটি এক্কেবারে অক্ষত অবস্থায় ছিল যার পরে ভুতুড়ে কান্ড বলে ছড়িয়ে যায় গোটা শহর জুড়ে। এরপর মাস দুয়েকের মধ্যে প্রচুর ছবি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। যদিও জানা যায়নি এই ছবিটিতে সেই বালকটি আসলে কে। তবে সেই বালকটিকে ঘিরে নানা রকম গুঞ্জন ছড়িয়ে ছিল।

অনেকে দাবি করেছিলেন ওই ছেলেটি নাকি একটি স্পেনীয় জিপসি পরিবারের সন্তান, যার বাবা-মা আগুনে পুড়ে গিয়েছিল এবং তারপরে ওই ছেলেটি যাদের কাছে আশ্রয় নিয়েছিল তাদের বাড়ি পুড়ে গিয়েছিল এমন কি যে স্টুডিওতে ওই ছেলেটির ছবি আঁকা হয়েছিল সে স্টুডিওটিও পুড়ে গিয়েছিল। অনেকের মতে ছোট্ট ছেলেটিও আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছিল। আদেও কি রহস্য ছবিটিকে ঘিরে সেটি এখনো পর্যন্ত পরিষ্কারভাবে প্রকাশ পায়নি।