১৫ বছরের মেয়েকে অনলাইন ক্লাসের জন্য স্মার্টফোন কিনে দিয়েছিলেন অভিভাবক। তবে তারা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি যে ওই স্মার্টফোন ব্যবহার করে মেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নগ্ন ছবি পোস্ট করবে! যতক্ষণে বিষয়টি তাদের নজরে পড়ে ততক্ষনে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়েটির নগ্ন ছবি ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়ে যায় যা আত্মীয়দের নজরে পড়ে। এবং তারাই অভিভাবককে বিষয়টি নিয়ে সচেতন করেন। কান্ড দেখে চক্ষু চড়কগাছ বাবা-মার।
অনলাইন ক্লাসে পড়াশোনার সুবিধার্থে মেয়েকে একটি স্মার্ট ফোন কিনে দিয়েছিলেন বাবা মা। পড়াশোনার জন্য আলাদা একটি ঘরের ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন তারা। সেই ঘরে অনলাইনে ক্লাস না করে মেয়ে যে এইসব কাণ্ড ঘটাচ্ছে তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তারা। বিষয়টি যখন তাদের কানে পৌঁছায় তখন রীতিমত হার্ট অ্যাটাক হবার জোগাড় হয় তাদের। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে তারা মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেন। যদিও সে প্রথমে নিজের ভুল বুঝতে চাইছিল না।
আমেদাবাদের ওই স্কুল পড়ুয়া মেয়েটি তার তুতো বোনদেরও এই বিষয়টি নিয়ে উৎসাহিত করতে থাকে। মেয়েকে যখন কিছুতেই বোঝানো সম্ভব ছিল না তখন বাধ্য হয়ে মনোবিদদের শরণাপন্ন হন বাবা মা। মনোবিদরা তাকে বোঝান সে যে কাণ্ডটি ঘটিয়েছে তা সাইবার অপরাধের আওতায় পড়ে। এরপর সে অবশ্য কথা দিয়েছে যে সে এবার থেকে বাবা-মার সামনেই স্মার্টফোন ব্যবহার করবে। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় সে যে ছবিগুলো আপলোড করেছে সেগুলিও সরিয়ে নেবে বলে জানিয়েছে।
