সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মহেঞ্জোদারো কি পাকিস্তানের ভয়াবহ বন্যায় মু’ছে যা’বে? শে’ষ ধ্বংসাবশেষ কি খুঁ’জে পাওয়া যা’বে না?

এমন ভয়াবহ তাণ্ডব এর আগে কখনো দেখেনি পাকিস্তান। এখনো প্রায় বেশিরভাগ জায়গায়ই বানভাসি। মাইলের পর মাইল কৃষি জমি গুলি এখনও রয়েছে জলের তলায়। তবে এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি এক বড় প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে হরপ্পা মহেঞ্জোদারো ধ্বংসাবশেষ নিয়ে কারণ মনে করা হচ্ছে ইতিহাসের এমন সম্ভার ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যেতে বসেছে।

আমরা জানি মহেঞ্জোদারো সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল সিন্ধু নদীর তীরে, দক্ষিণ সিন্ধু প্রদেশ যে জায়গাটিকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ও মনোনীত করেছে। বলা চলে মহেঞ্জোদারো, নগর জীবনের সংরক্ষিত ধ্বংসাবশেষটি এশিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ। তবে সিন্ধু নদীর তীরে যদি হয় মহেঞ্জোদারো তাহলে অপরটি অবশ্যই হরপ্পা।

যেটি পাক পাঞ্জাবে ৬৪০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত আর মহেঞ্জোদারো পাকিস্তানের শুক্করর শহর থেকে ৮০ কিলোমিটারের দূরত্বে অবস্থিত। প্রত্নতাত্ত্বিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯২০ সালে এই স্থানটি পরিদর্শন করেন এবং তিনি বুঝতে পারেন যে এই মাটির তলাতেই চাপা পড়ে রয়েছে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এবং তিনি খনন কার্য চালিয়ে এই প্রাচীন নগর সভ্যতা উদ্ধার করেন।

আরো পড়ুন: এই তিন রাশির জাতকদের কোনোদিন ও ক’ষ্ট দে’য় না শনিদেব, জানুন কি বলছে জ্যোতিষ’শা’স্ত্র

এর থেকে এক বছর পরে ১৯২১ সালে হরপ্পা সভ্যতা আবিষ্কার হয়। তবে ঐতিহাসিকদের মতামত যে আবহাওয়ার এইরকম চরম খামখেয়ালিপনাই হরপ্পা মহেঞ্জোদারো পতনের অন্যতম অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। পাকিস্তানে সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় এই সভ্যতার আরও পতন ঘটতে চলেছে কারণ এখনো পর্যন্ত পাকিস্তানে ৭৭৯.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে যার ফলে ধ্বংসাবশেষের অনেক অংশই খসে গিয়েছে।

ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষে জল জমা কথা উল্লেখ রয়েছে, জল নিকাশের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় পরিস্থিতির আরোই অবনতি ঘটছে। যদিও এখনো প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আধিকারিকরা ঐতিহাসিক কাঠামো গুলি মেরামতের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে আদৌ কতটা বাঁচানো সম্ভব হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।