জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী আমাদের রাশিতে বেশকিছু গ্রহের প্রভাব থাকে এবং এই গ্রহ গুলির মধ্যে সবথেকে নিষ্ঠুর বলে মনে করা হয় শনিকে। তবে সত্যের পথে যদি থাকা যায় তবে শনিদেব কখনোই কারো ক্ষতি করে না। ভালো মন্দের বিচার করে কর্মফল দাতা শনি দেব, সেই কারণেই কুলি যুগে বিচারক বলেই মনে করা হয়।
বিশেষ করে জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী বলা হয় যে শনির সাড়েসাতি এবং ঢাইয়া যখন চলে তখন তার ফল সবসময় অশুভ হয়। মানুষের বিশ্বাসের যখন সাড়েসাতি চলে তখন সেই অবস্থায় শনিদেব অশুভ ফল দান করেন, কিন্তু বলতে গেলে সব সময় তা হয় না। বিশেষ পরিস্থিতিতে ও শনিদেব শুভ ফল দান করেন।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী মকর এবং কুম্ভ রাশির অধিপতি শনি। বর্তমানে মকর রাশিতে শনিদেব অবস্থান করছেন অর্থাৎ শনিদেব এখন তার নিজের রাশিতে আছেন। তবে শনি বর্তমান সময়ে বক্রী পথে চলছেন, সেই জন্য মনে করা হচ্ছে যে শনি যখন বক্রী হন তখন তিনি শুভ ফল দান করতে পারেন না, সেই কারণেই এই রাশির জাতক-জাতিকাদের এখন সাবধানে চলা উচিত।
আরো পড়ুন: মুকেশ আম্বানির রাঁধুনির বেতন বি’ভি’ন্ন কর্পোরেট সংস্থার কর্মীদের থেকেও অনেক বে’শি
পাশাপাশি শনিদেব হলো কুম্ভ রাশির অধিপতি তাই মকরের পরে কুম্ভ রাশিতে বিরাজ করবেন শনি দেব। তবে জ্যোতিষশাস্ত্র মতে অনুযায়ী বলা যায় যে শনিদেবের ২ প্রিয় রাশি হল ধনু এবং মীন, যাদের কখনোই তিনি বিরক্ত করেন না।
কারণ মনে করা হয় এই রাশির জাতকরা সব সময় নিয়ম মেনে, অন্যের ক্ষতি না করেই চলে সেইজন্যে ধনু রাশি এবং মীন রাশির জাতক-জাতিকাদের সবসময় সম্পদ এবং সম্মান দান করেন শনিদেব।
এছাড়াও শনিদেবের প্রিয় রাশি হল তুলা, তুলা রাশির জাতক-জাতিকাদের কখনোই শনিদেব দুঃখ কষ্ট দেন না, কারণ এরা এরা অন্য কে সবসময় সাহায্য করে এবং উন্নতিতে সবসময় উপর দিকে থাকেন, সেই কারণেই এদের সব সময় অপ্রত্যাশিত ফল দান করেন শনিদেব।