দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি এলাকার ফের বাঘের হানা। এ বার মৎস্যজীবীকে বাঁচিয়ে আনলেন তাঁর দুই সঙ্গী। তিন ঘণ্টার ভাঁটা ঠেলে জয়নগরে পৌঁছনোর পর আক্রান্ত মৎস্যজীবীর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক বলে দেখা যায়।পরে তাঁকে কলকাতার হাসাপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,বছর পঞ্চাশের লখাই নস্কর দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি ব্লকের গোপালগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকা থেকে কাঁকড়া ধরতে বেণিফেলি কালীর জঙ্গল গিয়েছিলেন।
এই লখাই নস্করের বাড়ি স্থানীয় নস্করপাড়া এলাকায়। সঙ্গে ছিলেন লক্ষ্মণ সরদার এবং সুজিত নস্কর। এ দিন সকালেই কালীর জঙ্গলে বাঘে ধরে লখাইকে। কোনও ক্রমে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন দুই সঙ্গী। নিয়ে যাওয়া হয় জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসকেরা তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম-এ স্থানান্তরিত করেন। এ দিন লক্ষ্মণ বলেন, ‘সোমবার বেরিয়েছিলাম কাঁকড়া ধরতে। দু’দিন জলে জঙ্গলে কাজ করেছি। আজ ভোর বেলা হঠাৎই হানা দিল বাঘ।
নৌকোর উপর উঠে পড়ে বাঘটি। আমি জলে পড়ে যাই বাঘের ধাক্কায়। তখনই বুঝতে পারি কী হয়েছে। নৌকোর তলা দিয়ে সাঁতরে উল্টো দিকে গিয়ে দেখি লখাইকে ধরেছে। হাতে লাঠি ছিল তা দিয়ে পাশ থেকে বাঘের মাথায় দুটো বাড়ি দিতেই লখাইকে ছেড়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায় বাঘ।’ বাঘের হানায় আক্রান্ত মৎস্যজীবীর ডানদিকে ঘাড়, মাথার পিছন, কান, চোখ মারাত্মক জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে। ঘটনার কথা আগেই এলাকাবাসীকে ফোনে জানিয়েছেন তিনি।