পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ইতিমধ্যেই পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর স্কুল শিক্ষক হিসেবে চাকরি পাওয়ার ঘটনায় তোলপাড়। হাই কোর্টের নির্দেশে অতিমধ্যেই স্কুলের চাকরি গিয়েছে অঙ্কিতার। সেই চাকরি যেতে না যেতেই অবশ্য কলেজ সার্ভিস কমিশনের মেধা তালিকায় নাম উঠেছে অঙ্কিতার।
এই যাবতীয় বিতর্কের মাঝেই বিজেপি এবার অভিযোগ করল, পরেশ অধিকারীর পরিবারের মোট ২৫ জন সদস্য চাকরি পেয়েছেন। তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ মানতে নারাজ।
তাঁদের বক্তব্য, এই সব ভিত্তিহীন খবর ছড়িয়ে পরেশের ভাবমূর্তি আরও নষ্ট করার চেষ্টা করেছে বিরোধীরা। বিজেপির অভিযোগ, বাম জমানা হোক কি তৃণমূল জমানা, মন্ত্রী পরেশ অধিকারী চিরকালই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
আরো পড়ুন: কি অবস্থা! ফেসবুকে লম্বা চুল দেখে মেঘনাথকে “মেঘনা” ভেবে বি’য়ে করলেন বাঙালি যুবক
যদিও বাম জমানায় পরেশ কোনও দুর্নীতি করেছেন বলে মানতে নারাজ তাঁর প্রাক্তন দল ফরওয়ার্ড ব্লক। এদিকে তৃণমূলের তরফে কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, বরোধীরা কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। এর মধ্যে রাজনীতি ছাড়া কিছু নেই।
পরেশ অধিকারী বাম জমানায় খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন। বিজেপির অভিযোগ তার অনেক আত্মীয় খাদ্য দফতরে চাকরি করেন। এদিকে ২০১৮ সালে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন পরেশ অধিকারী। এর আগে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, পরেশবাবু নিজের মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার শর্তে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।
এরপর পরেশ অধিকারী ২০২১ সালের নির্বাচনে জিতে মন্ত্রী হন। আর ২০২২ সালে আদালতের নির্দেশে সিবিআই দফতরে বারংবার হাজিরা দিতে হচ্ছে উত্তরবঙ্গের এই দাপুটে নেতাকে।
এই আবহে বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন,একটি পরিবারের প্রত্যেকেই চাকরি করছেন। অথচ অন্য শিক্ষিত পরিবারে রয়েছে হাজার হাজার বেকার। সব কিছুরই তদন্ত হওয়া উচিত।