সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

চীনের প্র’তি এত ভালোবাসা কেন? রাশিয়াকে প্র’শ্ন অজিত ডোভালের

চিন ও ভারতের সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ভারত অত্যন্ত বিরক্ত চীনের উপর। ভারতের বিদেশমন্ত্রী সাফ জানিয়েছে দিয়েছে, সীমান্ত সমস্যা না মিটলে চীনের সাথে ভারতের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না। এমত অবস্থায়, ভারতের কৌশলগত সঙ্গী রাশিয়ার চীনের প্রতি ‘ সীমাহীন বন্ধুত্ত্ব ‘ নিয়ে প্রশ্ন তুলল ভারত। সম্প্রতি মস্কো সফরে যান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বা নাশেনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার অজিত ডোভাল। সেখানে রুশ উপপ্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই এই প্রশ্ন তুলেছেন ডোভাল। গত দুবছর ধরে যেভাবে পূর্ব লাদাখে চীন আগ্রাসী নীতি দেখিয়ে আসছেন, ১৬ রাউন্ড বৈঠকের পরেও সে সমস্যা মেটেনি। নয়াদিল্লির আপত্তি সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে গুপ্তচর জাহাজ পাঠিয়েছে বেজিং। অর্থাৎ তাঁর কথার ভিত্তিতে এরকম একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে রাশিয়া কি মস্কোর দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে?

এই অবস্থায় রাশিয়া সফরে গিয়ে এনএসএ ডোভাল-এর এই প্রশ্ন তোলার ঘটনা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। গত ফেব্রয়ারিতে শীতকালীন অলিম্পিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেজিং সফরে যান রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। সেখানেই তিনি চিনের সঙ্গে ‘নো লিমিট ফ্রেন্ডশিপ’-র কথা উল্লেখ করেন। আর এই বিষয়টি চিন্তা বাড়াচ্ছে ভারতের।

আরো পড়ুন: টমেটো আ’রো ম’হা’র্ঘ্য, মা’থা’য় হাত মধ্যবিত্তদের

তার উপর আবার ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ হওয়ার সময় আমেরিকা একের পর এক বিষয়ে নিষেধজ্ঞা জারি করে রাশিয়ার উপর। ফলে আরো বেশি করে চিন নির্ভর হয়ে পড়ে রাশিয়া। তাই সীমান্ত সমস্যার দরুন বেজিং যুদ্ধ শুরু করলে রাশিয়া কি ভূমিকা নেবে? সেক্ষেত্রে তাঁরা চিনের পাশে দাঁড়াবে? নাকি ৬২-র মতো নিরপেক্ষ ভূমিকা নেবে মস্কো? বিশেষজ্ঞদের দাবি, এবারের সফরে সেটাই বুঝে নিতে চাইছেন এনএসএ ডোভাল।

অন্য দিকে, ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীর এলাকায় চিনের দাদাগিরি বন্ধ করতে তৈরি হয়েছে ‘কিউইউএডি’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের সঙ্গে এই ৪ দেশের জোটে রয়েছে ভারতও। এই ‘QUAD’-কে কখনই ভাল চোখে দেখেনি চিন। এব্যাপারে প্রথম থেকেই রাশিয়া বেজিং কে সাপোর্ট করে আসছে।

শুধু তাই নয়, তাইওয়ান সংকটে চীনের পাশে আছে মস্কো সেই আশ্বাস ও দিয়েছে এসেছে রাশিয়া খোলাখুলি তাই রাশিয়ার চীনের প্রতি ” নো লিমিটস ফ্রেন্ডশিপ ” যথেষ্ট ভারী পড়বে ভারতের কাছে যদি তারা একজোট হয়। তাই আগে ভাগই তাদের কি পরিকল্পনা সেটা বুঝতেই ডোভালের এই গুরুত্বপূর্ণ মস্কো সফর বলে জানা গেছে।