পৃথিবীর ভাসমান শহর হল ইতালির ভেনিস। ভাসমান সেই শহরের সৌন্দর্য নিয়ে কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে জানেন কি ভারতেও রয়েছে কিছু ভাসমান জায়গা? ভাসমান বাজার ভাসমান হোটেল এমনকি ভাসমান পোস্ট অফিস রয়েছে। সেইসঙ্গে রয়েছে ভাসমান এটিএম। কোথায় আছে জানতে ইচ্ছে করছে! রয়েছে ভূস্বর্গ কাশ্মীরে। জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে দেখা যাবে ভাসমান এটিএম পোস্ট অফিস সব। আবার ভারতেই রয়েছে এক ভাসমান গির্জা! জানেন কোথায়?
দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে অবস্থিত এই ভাসমান গির্জা। তার নাম সেট্টিহার্লি রোজারি চার্চ। এর আরেক নাম নিমজ্জিত চার্চ। বৈচিত্র্যময় ভারতের এটি একটি অন্যতম বৈচিত্র্য। কর্নাটকে রাজধানী ব্যাঙ্গালোর থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রাম সেট্টিহার্লি। কর্নাটকের অন্যতম দর্শনীয় স্থান হামপি কুরগ, মাইশোর প্রভৃতি জায়গার যতটা জনপ্রিয়তা ততটা জনপ্রিয়তা অর্জন করেনি এই ছোট্ট গ্রাম। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে হেমাবতি।
কর্নাটকের হাসান জেলায় অবস্থিত এই গ্রামেই রয়েছে ভাসমান চার্চ। তবে ইতিহাসে এই চার্চের বর্ণনা পাওয়া যায়। অবাক হবেন গুগল ম্যাপেও এর অস্তিত্ব খুঁজে বের করা যায় না। তবে এই চার্চের ইতিহাসের সঙ্গে নানান লোককথা।১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি ধর্ম প্রচারক জিন এন্তইন এই গির্জা তৈরি করেন। গথিক ক্রিশ্চানীটির স্থাপত্যের নিদর্শন দেখা যায় এই গির্জায়। ভারতীয় সংস্কৃতির এক অপূর্ব মেলবন্ধন রয়েছে এই গির্জায়।
আরো খবর: আপনি কি বাংলাদেশে যাচ্ছেন? সেদেশে চা’লু হ’চ্ছে ট্যুরিস্ট সিম
তবে প্রথমে এটি জলের তলায় ছিল না। একতলা এই চার্চে ধীরে ধীরে আনা হয় বিভিন্ন বিদেশি আসবাবপত্র। গির্জা তৈরীর ১০০ বছর পর নদীর জলস্তর বাড়তে থাকে। সেই সময় নদীর নিচে চলে যায় আঠাশটি গ্রাম। তার মধ্যে সেট্টিহার্লি জলের তলায় ডুবে যায়। আর জলের নিচেই স্থানান্তরিত হয় এই চার্চ। সামনেই তো বড়দিন একবার ঢু মেরে আসতেই পারেন এখানে।