প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ অনেকদিন থেকেই।সম্প্রতি অনেক শিক্ষকের চাকরিও বাতিল করেছে আদালত।এবার অভিযোগ উঠছে ইন্টারভিউতে অনিয়ম নিয়েও।লিখিত ও ইন্টারভিউ,এই দুটি পরীক্ষার মিলিত নাম্বার যোগ করেই তালিকা প্রকাশ করা হতো।
এবার পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছিলেন যে, যেখানে প্রাথমিকের অ্যাপ্টিটিউড টেস্টের জন্য নির্দিষ্ট নম্বর থাকে, সেখানে ইন্টারভিউ হয়েছে কারচুপি করে। বারান্দায় বসিয়েও নেওয়া হয়েছে ইন্টারভিউ। কোথাও কোনও মুখ দেখেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে পরীক্ষার্থীদের।
চক ডাস্টার হাতে ক্লাসরুমে কী ভাবে পড়াবেন, তার প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা দিতে হয় অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ , ‘অনেককেই সেই প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় চক-ডাস্টার ছুঁতেই দেওয়া হয়নি। ইন্টারিউয়ের নামে প্রহসন হয়েছে।কেউ আবার ইন্টারভিউয়ে নিজের পরিচিত কোনো ক্ষমতাবান ব্যাক্তির নাম জানিয়েই চলে আসে। ‘
যাঁরা ওই ইন্টারভিউয়ের দায়িত্বে ছিলেন,তাঁদেরই এবার মুখোমুখি হতে হলো কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়- এর প্রশ্নের। ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারকে তলব করেছিলেন বিচারপতি।সূত্রে খবর অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় , এই ইন্টারভিউয়ারদের মুখোমুখি হয়েছিল নিজের এজলাসের বাইরে।
তাদের প্রশ্নোত্তর পর্ব হয়েছে রুদ্ধদ্বারে,সবরকম গোপনীয়তা বজায় রেখে ।উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।৩০ জনের মধ্যে ২৫ জন ইন্টারভিউয়ার স্বীকার করেন, ‘সঠিক পদ্ধতি’ মেনে অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি।
আবার অনেক প্রার্থীর কোনও অ্যাপ্টিটিউড টেস্টই দেয় নি। আদালতে কেবলমাত্র যাঁদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় তাদের আইনজীবীরাই উপস্থিত ছিলেন শুনানির সময়।