সম্প্রতি মায়ানমার সীমান্তে আসাম রাইফেলসের জওয়ান এবং তাদের পরিবারের উপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে জঙ্গীরা। মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং জানালেন, যেখানে হামলার ঘটনা ঘটে ছিল সেখানকার নিরাপত্তা পরিষেবা আরো বেশি আঁটোসাটো করা হয়েছে। ওই স্থানে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আধাসামরিক বাহিনীকে অভিযান চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার সকালে জঙ্গী হামলার ঘটনায় আসাম রাইফেলসের একজন কর্নেল, তার স্ত্রী, সন্তানসহ 4 জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আধিকারিকেরা জানিয়েছেন আধা সামরিক বাহিনী, আসাম রাইফেলস এবং রাজ্য পুলিশ মিলে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে। ওই এলাকায় এবং তার আশে পাশের অঞ্চলে চিরুনি তল্লাশি চালানো হবে।
শনিবার মনিপুরের হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে পিপলস লিবারেশন আর্মি এবং মনিপুর নাগা পিপলস ফ্রন্ট জঙ্গী সংগঠন দুটি। মনিপুরের ইম্ফল বিমানবন্দরে নিহতদের উদ্দেশ্যে পুষ্পাঞ্জলী এবং সম্মান জ্ঞাপন করে মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন এমন জঙ্গী গতিবিধি বরদাশ্ত করা হবে না। আগামী দিনে যেন এমন কিছু না ঘটে তার জন্য কড়া নজরদারি চালানো হবে।
শনিবার সকালে মণিপুরে আইইডি বিস্ফোরণ এবং জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলিতে অসম রাইফেলসের কর্নেল ত্রিপাঠি তার স্ত্রী অনুজা এবং ছেলে আবিরের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও আসাম রাইফেলসের আরও 4 জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে বাংলার মুর্শিদাবাদের শ্যামল দাস নামের একজন জওয়ান ছিলেন।