হীরের খনি থেকে দুষ্প্রাপ্য রত্ন থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে হীরে পাওয়ার জন্য খনন কার্যে গিয়ে কার্যত চমকে উঠলেন শ্রমিকেরা। কারণ এমন এক বস্তু সেখানে পাওয়া গেল যে বস্তুটি পৃথিবীতে পাওয়ার কথা নয়। এমনকি বস্তুটি দেখে চমকে উঠেছেন বিজ্ঞানীরাও। তারা অবাক হচ্ছেন জিনিসটি দেখে।
প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা গিয়েছে বস্তুটি আসলে ক্যালসিয়াম সিলিকেট পারভক্সাইড। অত্যধিক চাপে কেলাসিত হয়ে এই পদার্থ তৈরি হয়। বিজ্ঞানীদের মনে প্রশ্ন উঠছে পৃথিবীতে এত চাপের উৎস কী? আফ্রিকার বৎসওয়ানার খনি থেকে উদ্ধার হয়েছে এই কেলাসিত পদার্থ। যা দেখে ঘুম উড়েছে বিজ্ঞানীদের।
ভূ-অভ্যন্তরে প্রবল চাপ এবং তাপমাত্রা রয়েছে। এই সেখানে ক্যালসিয়াম এবং সিলিকন কেলাসিত হয়ে এমন আটকোনা পদার্থের সৃষ্টি হতে পারে কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ক্যালসিয়াম সিলিকেট যে রাসায়নিক গঠন যুক্ত যে বস্তুটি সম্প্রতি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে তা অত্যন্ত বিরল। হিরোর মতোই চকচকে এই নতুন রত্নের নাম দেওয়া হয়েছে ডাভেমাওইট।
বিজ্ঞানীরা আগে জানিয়েছিলেন এমন রত্ন কার্যত ভূপৃষ্ঠের খনিতে পাওয়া যাবে না। কিন্তু বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস মিথ্যে প্রমাণিত হলো। আমেরিকার নেভাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকরা এই রত্নকে নিয়ে গবেষণার কাজে নেমে পড়েছেন। তারা প্রথমে এর রাসায়নিক গঠন বিশ্লেষণ করছেন। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এটি আসলে তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়ামের আইসোটোপ। এরমধ্যে থোরিয়াম, পটাশিয়ামের ধর্ম রয়েছে। ওই খনি থেকে একটি আট কোন বিশিষ্ট বড়োসড়ো হীরের টুকরোও উদ্ধার করা হয়েছে।