সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

উত্তম কুমারের অকা’লমৃ’ত্যু’র পিছনে কি কা’হি’নী রয়েছে? রইলো অ’জা’না ত’থ্য

টলিউডের অন্যতম অভিনেতা যাকে মহানায়ক বলে টলিউডে পরিচয় দেওয়া হয়, যিনি উত্তম কুমার। টলিউডকে একটা আলাদা জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ৫৪ বছর বয়স তাঁর মৃত্যু হয়। ১৯৮০ সালের ২৮ জুলাই টলিউডের কাছে একটি কালো দিন, কারণ এই দিনই মৃত্যু হয়েছিল উত্তম কুমারের।

শেষ দিনটাও তিনি তাঁর কাজের মধ্যে দিয়েই কাটিয়েছিলেন। সকাল থেকে তাঁর কিছুটা অসুস্থতা বোধ হচ্ছিল। সেই সময় ওগো বধূ সুন্দরী শুটিং চলছিল। শুটিংয়ে যাতে কোন রকম বিপত্তি না হয় সেজন্য তার শরীর অসুস্থ হওয়া সত্বেও তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন।

সেই সময় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সুপ্রিয়া দেবী, অন্যদিকে উত্তম কুমারের মাথায় ছিল দেনার চাপ, গাড়িতে উঠতে গিয়ে তিনি প্রথম ধাক্কা পেয়েছিলেন । তিনি দেখেন তাঁর টেপ রেকর্ডারটাও চুরি হয়ে গেছে। বলতে গেলে শুটিংয়ে যাওয়ার পথে তার গান শোনা অভ্যাস ছিল।

আরো খবর: জোশীমঠের আ’য়ু আর কয়েকটি দিন! কি আ’শ’ঙ্কা ক’রা হচ্ছে?

নিতান্তই টেপ রেকর্ডারটা না পেয়ে যথেষ্ট বিষন্ন হয়ে পড়েন। মহানায়কের সমস্ত সহঅভিনেতা জানিয়েছিলেন সেদিন শুটিংয়ের সেটে ভীষন আনমনা লাগছিল তাকে। মেকআপ করে তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন শুটিং ফ্লোরে।

দৃশ্যটা ছিল, বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে এবং উত্তম কুমার দাড়ি কামাতে কামাতে সিড়ি দিয়ে বলবেন, আচ্ছা আমি দেখে নেব আমার নাম গগন সেন। যখন এই সংলাপটা তিনি বলার আগে থেকেই তাঁর বুকে ব্যথা শুরু হয়, কিন্তু বুকে ব্যথা নিয়েও তিনি তাঁর ডায়লগ কিন্তু একটুর জন্য থামাননি।

এরপরেই সিনেমাটির শেষে দেখা গেল বুক চেপে ডায়লগ বলে চলেছে উত্তম কুমার। সেটাই ছিল তাঁর শেষ শট,পরে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন যার পরে সেদিন বন্ধুর বাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যান।

বাড়ি ফিরে আসার পর পরই তাঁর অসুস্থতার পরিমাণও বাড়ে। এরপর তাকে ভর্তি করা হয় নার্সিংহোমে কিন্তু ততক্ষণে যা ঘটে সেটা ঘটে গিয়েছিল।