আগে থেকেই নাকি কলিযুগে যোশী মঠ ধ্বংসের সংকেত দেওয়া হয়েছিল। আর শুরু হয়ে গিয়েছে স্বপ্নের মত সুন্দর এই শহরের ধ্বংসলীলা। বেশ কয়েকবার পরিদর্শনে গিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। সুন্দর এই শহরকে বাঁচাতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এই ধ্বংসের কথা আগেই সরকারকে জানানো হয়েছিল কিন্তু তারা কর্ণপাত করেননি। চারধাম যাত্রার অন্যতম কেন্দ্র যোশী মঠ। সারা বছর এখানে পূর্ণার্থীদের ভিড়। এই শহরের মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশনের প্রজেক্ট রয়েছে। সেই প্রকল্পের জন্য পাহাড় ফাটানো হয়েছে, হয়েছে বিস্ফোরণ
সেখানকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন বিস্ফোরণে এমন মাটি কাঁপতো যে মনে হতো যেন ভূমিকম্প। সুরঙ্গ তৈরি করবার জন্য এই বিস্ফোরণ ঘটানো হতো কৃত্রিমভাবে। বিভিন্ন রাস্তায় ও গৃহস্থ বাড়িতে একসময় ফাটল দেখা যেতে শুরু করে। গত কয়েক মাস ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা লাগাতার চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
এই ব্যাপারে রাজ্যের কোনো হেলদোল দেখা যায়নি বলেই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। ফাটলের কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে মোট তিনটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। একটি চিঠিও উত্তর আসেনি। যোশী মঠের একটি হোটেলের মালিক জানান গত কয়েক বছর ধরে এই অচলাবস্থা চলছে।
বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে ফাটল অনেকবার চিঠি লিখেও জানানো হয়েছে কিন্তু কাজ হয়নি। জলবায়ু পরিবর্তন এবং পাহাড়ে ক্রমাগত প্রকৃতি ধ্বংস করা হয়েছে তার পরিবর্তে প্রকৃতি এমন ভয়ঙ্কর লীলা দেখাচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।