পশ্চিমবঙ্গে কতটা প্রভাব পড়বে মোচার তা নিয়ে চলছে তোর জোর। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নকে নির্দেশ দিয়েছেন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। নানান রকম আলোচনা জল্পনা চলছে। কত গতিবেগ হবে কোথায় কোথায় আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড় তা নিয়ে চলছে তরজা।
এখনো এই বিষয়ে নিজেরাই স্পষ্ট নয় মৌসম ভবন। অন্ধ্রপ্রদেশে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দক্ষিণে তামিলনাড়ু এবং ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গেও আছড়ে পড়তে পারে এই ঝড়। কিন্তু কোথায় সবচেয়ে বেশি আঘাত আসবে এখনো পর্যন্ত সঠিক করে বলা যাচ্ছে না।
পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই ঝড়। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তার রূপ দেখা যাবে।আরো বেশ কয়েকটি রাজ্যের উপর এর প্রভাব পড়তে পারে তার মধ্যে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ কেরালা এবং তামিলনাড়ু। আগামী পাঁচ দিন শিলাবৃষ্টি হতে পারে পাঞ্জাব হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে।
আরো খবর: ঘূর্ণিঝড়ের আ’ত’ঙ্ক! এক ধা’ক্কা’য় বি’রা’ট সস্তা আম, এখনই কমদামে আম খাওয়ার সে’রা সুযোগ
40 থেকে 50 কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া হইতে পারে। বৃষ্টি হতে পারে হরিয়ানা চন্ডিগড় দিল্লি উত্তর প্রদেশ মহারাষ্ট্র অরুণাচল প্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যে। এই রাজ্যগুলোর জন্য বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মায়ানমার উপকূল থেকে ধেয়ে আসবে এই ঝড়।
এরপর তার সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে ওড়িশায়। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ইতিমধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করে ফেলেছেন।
জানা গিয়েছে কলকাতা থেকে 1500 কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। দক্ষিণ মায়ানমারের দিক থেকে যদি এটি এগোতে থাকে তবে পশ্চিমবঙ্গ এবং উড়িষ্যায় বেশ প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
