ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে আগামী দুই দিনের মধ্যেই আসতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় মোচা। তার তাণ্ডবে বাগানে আম আর থাকবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় কপালে ভাজ পড়েছে আমচাসীদের। ইতিমধ্যে তারা আম পেয়ে ফেলেছেন যাতে ঝড় আসার আগে আম না পড়ে নষ্ট হয়।
গত বছর এই সময় হিমসাগর আম বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা প্রতি কেজি এবার সেই আমের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা প্রতি কেজি। তবে কি এবার মোচার কল্যাণে আম খাওয়া কিছুটা বৃদ্ধি পাবে। আম চাষিরা জানাচ্ছেন এবারে আমরা আর কোনরকম রিস্ক নেব না।
গত দুই বছরের ঘূর্ণিঝড়ের কথা তাদের মনে আছে। সেই স্মৃতির উপর ভর করে তারা এবারে আম গাছ ঝাড়িয়ে নিচ্ছেন। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে আম গাছের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল তবে এইবারে আম গাছে তেমন ক্ষতি হবে না বলেই জানাচ্ছেন চাষীরা।
তবে বেশিরভাগ বাগানে আম এখনো পাকেনি যে আম পাওয়া গিয়েছে তা কাঁচা আম সেই কারণে কৃত্রিম উপায়ে আম পাকানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কার্বাইড দিয়ে আম পাকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মালদা মুর্শিদাবাদের একই প্রক্রিয়া আম পাকানো হচ্ছে।
আরো খবর: একটু বুদ্ধি খা’টা’লেই ফ্লাইটের টিকিটের দা’ম ক’মি’য়ে ফেলতে পারবেন! কী করতে হবে?
এই মাসের শুরুতে ১০০ টাকা প্রতি কেজি দরে আম বিক্রি হয়েছিল তবে এবার সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা কিংবা ৪০ টাকা। অনেক জায়গায় আবার ২০ কিংবা ১৫ টাকা কেজি দরে পাকা আম বিক্রি হচ্ছে। একবার গাছ থেকে পেরিয়ে ফেলার পর আম খুব তাড়াতাড়ি পচে যাচ্ছে।
লাভের কথা চিন্তা না করে আম বেচে দিচ্ছেন চাষিরা। আমের বড় পাইকারি বাজার রয়েছে নদী আর মাঝদিয়ায় সেখানে কলকাতার কোলে মার্কেট থেকে বহু ব্যবসায়ীরা আসেন। তারা জানাচ্ছেন এবারে আমের বাজার মোটেও ভালো নয়।