সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কি কষ্ট! চুটিয়ে প্রে’ম করার পর বি’য়ে করে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে জানলেন বাড়িতে কো’নো বাথরুম নেই

তামিলনাড়ুর কুড্ডালোর জেলার এক গ্রামের বাসিন্দা ২৭ বছরের এক মহিলা রাম্যার সাথে ৬ এপ্রিল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন কার্তিকেয়ন। রাম্যা নিজের স্বামীর ঘরে টয়লেট না থাকায় আত্মহত্যা করেন৷

কুড্ডালোর জেলার আরিসিপেরিয়নকুপ্পম থেকে এসএসসি স্নাতক রাম্যা একটি বেসরকারি মেডিকেল ফার্মে কাজ করেন৷ সূত্রের খবর, রাম্যা বিয়ের পর নিজের মায়ের সঙ্গেই থাকছিলেন৷ কারণ তাঁর স্বামীর ঘরে কোনো বাথরুম ছিল না।

তিনি নিজের শ্বশুরবাড়ির থেকে বেশ খানিকটা দূরে একটি বাথরুম শুদ্ধ ঘর তাঁর স্বামীকে খুঁজতে বলেন৷ এই নিয়ে দুজনের মধ্যে বারবার ঝগড়া হতে থাকে। আর তারপরই রাম্যা গলায় দড়ি দিয়েআত্মহত্যা করেন৷

আরো পড়ুন: উত্তরবঙ্গের এই স্থা’ন ছিলো সাহেবদের গরমের দিন কা’টা’নো’র সবচেয়ে প্রি’য় জায়গা

পুলিশ জানিয়েছে রাম্যাকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ তারপর পুদুচেরিতে জওহরলাল ইন্সটিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু চিকিৎসার গাফিলতিতে রাম্যার মৃত্যু হয়।

রাম্যার মা মঞ্জুলা তিরুপতিরুপুলিয়ুর পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ মারফত শুরু হয় তদন্ত। দম্পতি ২ বছরের অধিক সময় ধরে এক প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিলেন।

এরপর ৬ এপ্রিল নিজের মা-বাবার ইচ্ছায় কার্তিকেয়নের সঙ্গে বিয়ে করে নেন৷ কিন্তু বিয়ের পর তিনি স্বামীর বাড়িতে গিয়ে দেখেন যে স্বামীর বাড়িতে কোনো শৌচালয় নেই৷ তাই রাম্যা নিজের মায়ের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন৷

পুলিশ তাঁর মায়ের কাছ থেকে জানতে পারেন যে বিয়ের এক সপ্তাহের পর এক অনুষ্ঠানে নিজের বাড়িতে ফিরে আসে রাম্যা। তাঁর মেয়ের কথা অনুযায়ী কার্তিকেয়ন টয়লেটের কাজও শুরু করেন৷ কিন্তু ৬ মে রাম্যা কাজ শেষে বাড়ি ফিরে এসে পাখার সাথে শাড়ি গলায় জড়িয়ে আত্মঘাতী হয়।