সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

হাড় দুর্বল থাকলে কি কি উপ’স’র্গ দেখা যায়?

ছোটবেলা থেকেই নজর দিতে হবে যেন হাড়ের সুস্থতা বজায় থাকে। হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখার জন্যই অবশ্যই প্রত্যেকদিন দুধ খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। কিন্তু আজকাল অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন এবং অপুষ্টিকর খাবার খাওয়ার জন্য হাড়ের স্বাস্থ্য অনেক অংশে বিগড়ে যায়, হাড় দুর্বল হয়ে গেলে তা ভঙ্গুর হয়ে পড়ে যার কারণে অস্টিওপেরোসিস হয়।

এরকম হলে হাড় এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে সামান্য পড়ে গেলেও ফ্র্যাকচার হয়। এই কারণেই হাড়ের দুর্বল হয়ে যাওয়ার লক্ষণ এবং উপসর্গ জানা অত্যন্ত জরুরী। যদি আগে থেকে জানা যায় তবে সে ব্যাপারে চিকিৎসা করা সহজ হয় ।

দাঁতের মাড়ি ক্ষয়ের কারণ হলো হাড়ের দুর্বলতা। হাড় যখন দুর্বল হয় তখন দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয় সে ক্ষেত্রে দন্ত চিকিৎসকদের সাথে অবশ্যই পরামর্শ করা উচিত।

নখ ভেঙে যাওয়া হলো হাড়ের স্বাস্থ্য দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণ। কোন কিছু ধরার শক্তি যদি হারিয়ে ফেলেন তাহলে মনে করবেন যে এর কারণ হচ্ছে হার্টের দুর্বলতা।

আরো খবর: Train-কে বাংলায় কি বলে? ৯৯ শতাংশ লোকই জানেন না

পিঠ এবং ঘাড় ব্যথা যদি হয় তাহলে মনে করতে হবে যে বসার ভঙ্গির কারণেও অনেক সময় এই ঘাড়ে, পিঠে ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথাকে অস্টিওপোরেসিস বলা যেতে পারে।

যদি অস্টিওপোরোসিস হয় তবে শরীরে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন হয়। এই অসুখের উপসর্গ হলো দৈহিক উচ্চতা কমে যাওয়া এবং কোমরে অথবা শরীরের যে কোন অংশে সবসময় ব্যথা হওয়া।

বিশেষজ্ঞদের মতে যদি হাড়ের দুর্বলতা প্রতিরোধ করতে হয় তাহলে অবশ্যই প্রত্যেকদিন ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করা দরকার। ব্রকোলি, আমন্ড, সবজি, ফল প্রত্যেকদিন খাওয়া উচিত।

এছাড়া প্রত্যেক দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা উচিত। জল খেলে হাড় থেকে অপ্রয়োজনীয় টক্সিন দূর হয়। এছাড়া অন্তত একঘন্টা করে প্রত্যেকদিন সূর্যের তাপ শরীরে লাগানো উচিত, এতে শরীরের হাড় মজবুত হয়। মদ্যপান, ধূমপান এবং অন্যান্য নেশা থেকে অবশ্যই বিরত থাকা উচিত।