সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বি’য়ে করার এত্তো শখ? ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ১৪ টি বি’য়ে সাত রাজ্য জু’ড়ে!

আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মানুষকে চেনা বড়ো কঠিন। কে যেন কখন কোন রূপে কোন অবতারে আপনার সামনে হাজির হবে তা কিন্তু বলা খুব মুশকিল। আর বিয়ে নিয়ে আজকাল কীর্তিকলাপেের শেষ নেই। ঠিক যেন ঘন এক জঙ্গলে শিকার হন চালানোর মতো। এটা পছন্দ না তো অন্যটা। আজ এমন একজনের কথা আপনাদের বলতে চলেছি যিনি একজন তার জীবনের ৪৮ টা বছর ধরে দিল্লি, পঞ্জাব, অসম, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশা-সহ সাত রাজ্যে মোট ১৪টি বিয়ে করে ফেলেছেন।

অভিযুক্তের নাম বিধুপ্রকাশ সোয়েন। বছর ষাটের প্রৌঢ়ার বিয়ের তালিকায় যারা নাম লিখিয়েছেন তারা যে সবাই অতি সাধারণ মহিলা তা কিন্তু নয়, আইনজীবী থেকে শুরু করে সেই তালিকায় রয়েছেন চিকিৎসক, নার্স, আধাসেনায় কর্মরত মহিলা, এমনকি বেশ কয়েক জন উচ্চশিক্ষিত মহিলাও। এত বছর ধরে এই কুকীর্তি চালিয়ে আসার পর অবশেষে সোমবার ভুবনেশ্বর থেকে সরাসরি পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

অভিযুক্ত বিধুপ্রকাশ সোয়েন ওড়িশার কেন্দ্রাপড়ার পাতকুড়া থানার বাসিন্দা। তাঁর মহিলাদের সঙ্গে আলাপ জমানোর প্রক্রিয়াটি বেশ অন্যরকম। বেশ পাকা মাথার খেলোয়াড়। বিবাহ-সম্পর্কিত ওয়েরবসাইটগুলিতে নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে তিনি আলাপকার্য চালাতেন বলে খবর। বেশ মাথা খাটিয়ে শিকার হিসেবে বেছে নিতেন মূলত মাঝবয়সি অবিবাহিত মহিলা, ডিভোর্সিদের। এ ভাবেই একে একে উচ্চশিক্ষিত মহিলারাও তাঁর পাতা ফাঁদে পা দেয়। ব্যস কেল্লাফতে।

আরো পড়ুন: সরকারের হাতে টা’কা নেই, নিজে থেকেই স্বী’কা’র করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি

১৯৮২ সালেই তিনি প্রথমে এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তারপর ২০০২ সালে করেন দ্বিতীয় বিয়ে। ভুবনেশ্বরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ঊমাশঙ্কর দাশের বক্তব্য অনুযায়ী, প্রথম এবং দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর মোট পাঁচ সন্তান। ২০০২ থেকে ২০২০-র মধ্যে বিবাহ-সম্পর্কিত ওয়েবসাইটে গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে আলাপ জমিয়ে তাঁদের একে একে বিয়ে করতেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল এই যে কেউই তাঁর আগের বিয়ে সম্পর্কে ঘুণাক্ষরেও টের পাননি।

ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, অভিযুক্তের মূল উদ্দেশ্য ছিল চাকুরিজীবী মহিলাদের বিয়ে করে তাঁদের টাকাপয়সা আত্মসাৎ করা। আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি বিয়ের পর স্ত্রীদের টাকা চুরি করে চম্পট দিতেন। আবার বেশ কিছুদিন চুপচাপ। তারপর আবার শুরু হত তাঁর শিকার ধরা।

আরো পড়ুন: অ’দ্ভু’ত দোকান! না আছে বি’ক্রে’তা না আছে দরজা, মানুষ জিনিস নিয়ে রেখে যান টা’কা

কিন্তু এতকিছুর পরেও কি শেষ রক্ষা হল? এ প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, গত জুলাই মাসে এক শিক্ষিকা ভুবনেশ্বরে অভিযোগ দায়ের করেন যে এক ব্যক্তি তাঁকে ২০১৮-য় দিল্লিতে বিয়ে করে ভুবনেশ্বরে নিয়ে আসেন। আর তিনিই ওই ব্যক্তির একমাত্র স্ত্রী নন, এর আগেও বেশ কয়েকটি বিয়ে তিনি করেছেন। শিক্ষিকার এহেন অভিযোগেই বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমে পড়ে পুলিশ। গত সোমবারই অভিযুক্ত গ্রেফতার হন।

আরো পড়ুন: দল টিকিট দেয়নি, তৃণমূল প্রার্থী স্বামীকে ডি’ভো’র্স দিয়ে নির্দলে স্ত্রী

অভিযুক্তের কাছ থেকে পাওয়া গেছে ১১টি এটিএম কার্ড, চারটি আধার কার্ড সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, মহিলাদের ফাঁসিয়ে বিয়ে করে টাকা হাতানো ছাড়াও আরও অনেক প্রতারণামূলক কাজে জড়িত ছিলেন অভিযুক্ত। এমনকি বিভিন্ন বেকার যুবকদের চাকরি দেওয়ার নামেও টাকা হাতিয়ে ছিলেন তিনি, আর সে কারণে হায়দরাবাদেও গ্রেফতার হয়েছিলেন।