পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর মৌলবাদীদের অত্যাচার বেড়েই চলেছে। পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে রাষ্ট্রসঙ্ঘের হস্তক্ষেপ দাবি করেছিল ভারতীয় একটি সংগঠন।
ভারতের প্রতিবেশী এই দেশে বারবার ধর্মীয় হিংসার ঘটনা ঘটে। এবার করাচিতে আবার একবার ধর্মীয় হিংসার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে করাচির গৌরাঙ্গ এলাকায় এক হিন্দু পুরোহিত আক্রান্ত হলেন মৌলবাদীদের হাতে।
পুরোহিতকে আক্রমণ করার পাশাপাশি মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একদল দুষ্কৃতী এদিন পুরোহিতের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল। মাতা মেরীর মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়।
আরো পড়ুন: ক’বে হবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন? ফলপ্রকাশ কতদিন প’রে?
পাকিস্তানের প্রশাসনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।
এলাকার এক হিন্দু বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেছেন 6 থেকে 8 জন দুষ্কৃতী রাতের অন্ধকারে হাজির হয়ে মন্দিরে ভাঙচুর চালিয়েছে। পাকিস্তানি হিন্দু এবং শিখেদের উপর নির্যাতনের ঘটনা কারো অজানা নয়।
Hindu Temple priest house attacked by some Militants in Korangi 5 Karachi
Militant Mob vandalises the house & broke the Mortis. Shri Mari Maata Mandir was attacked on Wed late night causing fear amongst the Hindu community.
No arrests have been made by Pak Police. #Karachi pic.twitter.com/bxmYD5QxWw— Mirza (@Mirza45994191) June 9, 2022
প্রায় দিন এখানে খুন, অত্যাচার লেগেই থাকে। পাকিস্তানের মাটিতে একাধিক হিন্দু এবং শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের রক্ত ঝরেছে। প্রত্যেক হামলার নেপথ্যে মুসলিম মৌলবাদীদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পাকিস্তানে ধারাবাহিকভাবে ধর্মীয় হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে। শুধু খুলনায় হিন্দু এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মেয়েদের অপহরণ করে জোর করে ইসলাম ধর্মে রূপান্তরিত করা হয়।
তারপর মুসলিম সম্প্রদায়ের পুরুষদের সঙ্গে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। এই সমস্ত বিষয়ে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয় না। এক সরকারের পতন হয়ে নতুন সরকার এলেও মৌলবাদীদের দাপট কমে না।