শতাব্দী ও রাজধানী এক্সপ্রেসে প্রথম শ্রেণির এসি এক্সিকিউটিভ চেয়ারকারে আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে। যাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই এটি করা হচ্ছে বলে খবর।
ভ্রমণপিপাসুরা এর ফলে বিলাসবহুল ভ্রমণের চমৎকার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে দশটিরও বেশি এধরনের ‘অনুভূতি’ কোচ তৈরি করেছে রেল। যা দ্রুত পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে। করোনা কালে এই প্রকল্প থমকে গেলেও এখন তা চালু করতে দ্রুত গতিতে কাজ শুরু হয়েছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫৬ সিটের ‘অনুভূতি’ কোচের দু’ধারে দু’টি করে সিট থাকবে। মাঝে যাতায়াতের পথ। সিটগুলি বিমানের ধাঁচে কুশানে মোড়া। একেবারে পায়ের তলা পর্যন্ত বিস্তৃত। ফলে পায়ে আরামদায়ক অনুভূতি মিলবে যাত্রীদের।
এলইডি স্ক্রিন প্রতিটি সিটের পিছনে লাগানো থাকবে । যাতে সিনেমা থেকে নান্দনিক বেশকিছু প্রোগ্রাম দেখা যাবে। এছাড়া, সামনা সামনি চারটি করে সিটও থাকছে।
দু’টি সিটের মধ্যে ইউএসবি ও মোবাইল চার্জিং ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিটা সিটের পিছনে স্ন্যাক্স টেবিল এমন ভাবে থাকবে যে টানলেই তা বেরিয়ে আসবে, ঠেললে ভিতরে ঢুকে যাবে।
এমনকি ট্রেনের রেলকর্মীদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কথা বার্তার প্রয়োজন হলে নতুন কোচগুলিতে মাথার উপরে থাকবে কলিংবেল। টিপলেই জায়াগায় বসেই প্রয়োজনীয় কথা বলতে বা শুনতে পারবেন। উপরে ধার ঘেঁষে লাগেজ র্যাকটি প্রশস্ত ও ভেলভেটে মোড়া। সামগ্রী থাকবে নিরাপদে।