নিয়ম না মেনেই উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ করার তালিকা প্রকাশিত করা হলো স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে। যাকে ঘিরে মামলা করা হয়েছে হাইকোর্টে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেছে, কোনো রকম নিয়মনীতি না মেনে এই শিক্ষক নিয়োগের তালিকা প্রকাশিত করা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের এইরকম একটি কাজকে ভৎসনা করলেন।
উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ১৪৩৩৯ টি পদের জন্য ইন্টারভিউর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে। এইরকম একটি তালিকাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলাকারীরা অভিযোগ করে হাইকোর্টে। তারা অভিযোগ করে, স্কুল সার্ভিস কমিশন সমস্ত নিয়ম-নীতি ভেঙে ইন্টারভিউর তালিকা প্রকাশিত করেছে।
এই অভিযোগ ওঠার পর আদালত এই উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ করার কাজে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ভৎসনা করে বলেন যে, “স্কুল সার্ভিস কমিশন হলো একটা অপদার্থ। কারা চালাচ্ছেন? এইরকম অযোগ্য কমিশনকে যথারীতি সম্ভব খারিজ করে দেওয়া উচিত”।
এরপরে বিচারপতি প্রশ্ন করেন যে, “২০১৯ সালের অক্টোবরের শিক্ষক নিয়োগ করার ক্ষেত্রে যে নির্দেশ দেওয়া হয় তা কেন মানা হয়নি? ইন্টারভিউর লিস্ট নির্দেশ মেনে কেন প্রকাশিত করা হয়নি? এরকম কমিশনকে বরখাস্ত করে দেওয়া উচিত”। হাইকোর্ট এই মামলার ওপর ভিত্তি করে এসএসসির চেয়ারম্যানকে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেয়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে গত মঙ্গলবার ইন্টারভিউর একটি তালিকা প্রকাশিত করা হয়েছিল এবং তারপরেই মামলাকারীর অভিযোগ করেছিল যে, যে তালিকাটি ইন্টারভিউর জন্য প্রকাশিত হয়েছে সেটা বেনিয়ম ভাবে করা হয়েছে। কত নাম্বার পেলে ইন্টারভিউ দেওয়া যাবে সে সম্পর্কে কিছু লেখা নেই।
তারা আরও অভিযোগ করে যে, নিয়ম-নীতি মেনে শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে না। যারা বেশি নাম্বার পেয়েছে পরীক্ষায়, তাদের ইন্টারভিউতে ডাক আসেনি। এইরকম একটি অভিযোগ ওঠার পর এই হাইকোর্টের তরফ থেকে শিক্ষক নিয়োগের কাজকে স্থগিত করা হয়েছে।