বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি বিষয় হল পামিস্ট্রি । আসল ব্যাপারটি হল, চেনাশোনার মধ্যে কেউ হাতের রেখা পড়তে পারলেই অমনি তাঁর চারপাশে মানুষ নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করতে হাত দেখাতে চলে আসে। আর প্রায়ই এসব নিয়ে চলে নানা ভবিষ্যদ্বাণী। নানা প্রেডিকশন।
এমনকি ‘পামিস্ট্রি’ বিষয়টাও জ্যোতিষবিদ্যার অন্তর্গত। জ্যোতিষবিদ্যা বলে, আপনি কেমন মানুষ, তা আপনার হাত দেখে বলে দেওয়া সম্ভব। হাত দেখতে বসে সাধারণত হৃদয়রেখা, আয়ুরেখা, মস্তিষ্করেখা ইত্যাদি নিয়েই বেশি চর্চা হয়। প্রতিটি রেখা নিয়েই নানা চর্চা, নানা ব্যাখ্যা।তবে সচরাচর এই চেনাশোনা রেখার ভিড়ে করতলের উপর ইংরেজি ‘এম’ অক্ষর (M) নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয় না। হয় না, কারণ, বিষয়টা একটু বিরলই।
তবে যদি এই চিহ্ন কারও হাতে থাকে তা নিশ্চিত ভাবে সেই ব্যক্তির অসাধারণত্বকে সূচিত করে। জ্যোতিষবিদ্যায় বলা হয়, যে ব্যক্তির হাতে এই চিহ্ন থাকে, তিনি সাধারণত খুব ভাগ্যবান হন। এই ‘এম’ চিহ্নটি অবশ্য কোনও সৃষ্টিছাড়া রেখা নয়। এটি হৃদয়রেখা, আয়ুরেখা ও মস্তিষ্করেখার সমন্বয়ে তৈরি হয়। সকলের হাতে এই চিহ্ন দেখা যায় না। যাদের হাতে দেখা যায় তাদের আবার সকলেরটা সমান ভাবে স্পষ্ট হয় না।
করতলে এই চিহ্ন থাকা ব্যক্তিরা সাধারণত তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন ও বিবেবকবান হন। তাঁরা খুবই সৃজনশীল হন। হন সদা-উৎসাহী, নতুন কিছু করতে ইচ্ছুক, আধ্যাত্মিক বোধসম্পন্ন। সময়ানুবর্তী ও শৃঙ্খলানিষ্ঠ। যেসব পুরুষের হাতে এই চিহ্ন থাকে, তাঁরা সম্মান ও যশের অধিকারী হন। ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে সমাজে নিজের জায়গা করে নেন। এঁদের দাম্পত্য জীবনও খুব সংহত ও মধুর হয়।
হাতে এম-চিহ্ন ওয়ালা কয়েকজন সফল পুরুষের নাম হল জ্যাক মা, বিল গেটস। যেসব মহিলার হাতে এই চিহ্ন থাকে, তাঁরা খুবই ভাগ্যবতী হন। এঁরা খুবই বুদ্ধিমতী কিন্তু সরলমনা হন। হন কর্মদক্ষ। এঁদের দাম্পত্যজীবনও খুব সুখের হয়ে থাকে।