রুশ সেনা ইতিমধ্যেই আক্রমণ করেছে ইউক্রেন, যার কারণেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডঙ্কা যেন বেজে চলেছে অনবরত। এই রুশ সেনাবাহিনীর হামলায় ইউক্রেন এখন দারুণভাবে বিপর্যস্ত। কিন্তু তাই বলে মাথা নত করতে হবে নাকি ? বীরের মতোই লড়াই করার ডাক দিয়েছে ইউক্রেন। আর সেই উদাহরণ দিলে এবার ইউক্রেনের ১৩ জন বর্ডার গার্ডস।
কৃষ্ণ দ্বীপ পাহারা দিতে গিয়ে রুশ নৌ সেনাবাহিনীর কবলে পরে প্রাণ হারায় সেই ১৩ জন। এবার সেই ১৩ জনকে শহীদ বীরের মর্যাদা দিতে কোনোভাবেই কার্পণ্য করবেন না । ইউক্রেনের এই ১৩ জন সেনা, কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের অধীনে থাকা ছোট্ট দ্বীপ জিমিনি বা স্নেক আইল্যান্ড যেটা কিনা ওডেসা পোর্টর দক্ষিণে অবস্থিত। সেখানে দাড়িয়েই রুশ সেনার চোখে চোখ রেখে নিজের কর্তব্য পালন করেছে। ও বীরত্বের সাথে শহীদ হয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, আমরা কখনই পিছনে হাঁটবো না।
রুশ সেনা ইউক্রেনকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরেছে, যার ফলেই সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। ইউক্রেনের সেনাদের সাথে দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কারণ রুশ সেনাবাহিনীর এই তিনদিক থেকে আক্রমণ ও সাইবার হামলায় একেবারে সব ধরনের সরকারি যোগাযোগ মাধ্যম খারাপ হয়ে গেছে।
আরো পড়ুন: নিজেদের হাতে ক্ষ’ম’তা তু’লে দিন, ইউক্রেন সেনাকে ই’ঙ্গি’ত’পূ’র্ণ বা’র্তা পুতিনের
স্যোশাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে, ইউক্রেনের সেনা আধিকারিকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বর্ডার গার্ডসের সাথে রুশ সেনার বিভিন্ন বাক্য বিনিময় হয়েছে। রুশ সেনার গালিগালাজ পর্যন্ত শোনা যাচ্ছে সেই ভিডিওতে, এমনকি হুমকি পর্যন্ত।
তাদের অস্ত্র নামিয়ে আত্মসমর্পণ করার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু সেই পথে না চলায় তাদের শেষ পর্যন্ত শহীদ হতে হয়েছে । ইতিমধ্যেই জেলেনেস্কি তার ওয়েবসাইটে জানিয়েছেন, আমাদের বর্ডার গার্ডসরা জিমিনি আইল্যান্ডে নৃশংস ভাবে খুন হয়েছে।
কিন্তু তারা হার মানে নি। তারা বুক ফুলিয়ে চোখে চোখ রেখে সমস্ত কিছুর সম্মুখীন হয়েছে। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে তারা শেষ পর্যন্ত টিকে থেকেছে। তাদের সকলকে মরণোত্তর ইউক্রেনের নায়ক সম্মান দেওয়া হবে।।