ভারতীয় ক্রিকেট জগতে এক আগ্রাসী তারকা সূর্য কুমার যাদব। ২২ গজে যেমন তিনি নায়ক ঠিক তেমনি তার ব্যক্তিগত জীবনও সিনেমার মতো। ক্রিকেট জীবনে তার যে সাফল্য সেই কৃতিত্ব রয়েছে তার শ্রী দেবীশার। সূর্য কুমার মুম্বাইতে বড় হয়েছেন। কিন্তু ঘর বেঁধেছেন দক্ষিণের মেয়ের সঙ্গে। সূর্য এবং দেবীশার আলাপ হয় মুম্বাইয়ের পোদ্দার কলেজে।
তারা দুজনেই ছিলেন বি কমের ছাত্র। ক্রিকেটের কারণে অর্ধেক সময় ক্লাসে যোগদান করতে পারতেন না সূর্য কুমার। অথচ তাকে নোট দিয়ে সাহায্য করতেন ক্লাসের সবচেয়ে নিয়মিত পড়ুয়া দেবীশা। এভাবেই একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। তারপর একদিন সূর্য মনের কথা বলে ফেলেন তার বান্ধবীকে।
তবে অল্প কিছু সময় তাদের প্রেম স্থায়িত্ব হয়েছিল কারণ কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়।। দুই পরিবারের মধ্যে সাক্ষাৎ হয় এবং তারা বিয়ের ব্যাপারে সম্মতি দেন। যদিও মেয়ের বাড়িতে কিছুটা আপত্তি ছিল তাদের দাবি ছিল দক্ষিণ ভারতীয় পদ্ধতিতে হবে বিয়ে।
আরো খবর: শিবরাত্রির দিন পাঠ করুন এই স্তোত্র, কালসর্প দো’ষে’র প্রভা’ব ক’ম’বে
এদিকে সূর্যর পরিবারের দাবি তারা উত্তরপ্রদেশের মানুষ তাই ওই প্রথাতেই বিয়ে হবে। অবশেষে মেয়ের বাড়ির কথা মতই দক্ষিনী মতে বিয়ের আয়োজন করা হয়। কমার্স নিয়ে পড়াশোনা করলেও দেবিশা একজন নৃত্যশিল্পী। নিজের বউয়ের নামে ভালবেসে একটি ট্যাটু করেছেন সূর্য।
সূর্যর স্ত্রী একটি সংবাদপত্রকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বলেন স্বামীকে আগেই বলেছিলেন বিয়ের পরে হোক কিংবা আগে ক্যারিয়ারই হবে প্রথম প্রায়োরিটি। বউয়ের কথা শুনেই নিজের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন এনেছেন সূর্য কুমার। প্রতিদিন প্র্যাকটিস করবার সময় তাকে উৎসাহ যোগান দেবী।
সূর্য কুমার নিজে জানিয়েছিলেন তার ক্যারিয়ারের উপর কখনো প্রেমের নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি কারণ তিনি পছন্দ করেছিলেন এমন একজন রত্নকে যিনি সব সময় তাকে উৎসাহ আর অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন