প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালন করা হয় মহা শিবরাত্রি। চলতি বছর এক বিশেষ দিন ১৮ই ফেব্রুয়ারি শনিবার পালিত হবে মহা শিবরাত্রি। মনে করা হয় এই দিনেই শিব ও পার্বতীর বিয়ে হয়। এই দিন শিবের অভিষেক করা হয় বিশেষ স্ত্রত্র পাঠের মাধ্যমে।
মহা শিবরাত্রির দিন কিছু বিশেষ মন্ত্র উচ্চারণ করে শিবের অভিষেক করা হয়। এই দিন পঞ্চক্ষর স্তত্র পাঠ করলে এবং শিবকে ভক্তি সহকারে দুধ গঙ্গার জল দিয়ে স্নান করালে তিনি বিশেষ সন্তুষ্ট হয়ে থাকেন।। এই ব্যক্তি অকাল মৃত্যুর হাত থেকেও রক্ষা পেতে পারেন।
নিয়মিত যদি জপ করা যায় তবে কালসর্প দোষ খণ্ডিত হয়। সঠিক নিয়ম অনুযায়ী এই মন্ত্র পাঠ করা উচিত। প্রতিদিন সূর্যোদয় হওয়ার আগে উঠে স্নান করে নিতে হবে।। এরপরে একটি ছোট্ট চৌকিতে সাদা রঙের কাপড় বিছিয়ে সাদা আসন পাড়তে হবে।
ওই চৌকির ওপরে শিবের প্রতিমা অথবা মূর্তি স্থাপন করতে হবে। সাধারণের ফুল এবং সাদা গোপিচন্দনের তিলক ধারণ করতে হবে। সরষের তেলের প্রদীপ প্রজ্জলিত করে শিবের ধ্যান করতে হবে মন দিয়ে। ধ্যান শেষ হওয়ার পর শিবকে ফল এবং মিষ্টির নৈবেদ্য নিবেদন করতে হবে।
আরো খবর: কেঁ’পে উঠলো তুরস্ক, কম্পনের মা’ত্রা ৭.৮, মৃতের সংখ্যা ছা’ড়ি’য়ে যে’তে পারে ১০০
এবার জেনে নিন এই মন্ত্রটি কি!
নাগেন্দ্রহারায় ত্রিলোচনায় ভস্মাঙ্গরাগায় মহেশ্বরায়।
নিত্যায় শুদ্ধায় দিগম্বরায় তস্মৈ নকারায় নমঃ শিবায়।।
মন্দাকিনীসলিলচন্দনচর্চিতায় নন্দীশ্বরপ্রমথনাথ মহেশ্বরায়।
মণ্দারপুষ্পবহুপুষ্পসুপজিতায় তস্মৈ মকারায় নমঃ শিবায়।।
শিবায় গৌরীবদনাব্জবৃন্দসূর্যায় দক্ষাধ্বরনাশকায়।
শ্রীনীলকণ্ঠায় বৃষধ্বজায় তস্মৈ শিকারায় নমঃ শিবায়।।
বসিষ্ঠকুম্ভোদ্ভাবগৌতমার্য়মুনীন্দ্রেদেবার্চিতশেখরায়।
চন্দ্রার্কবৈশ্বানরলোচনায় তস্মৈ বকারায় নমঃ শিবায়।।
পঞ্চাক্ষরি পুণ্য যঃ পঠেচ্ছিবসন্নিধৌ।
শিবলোকমবাপ্নোতি শিবেন সহ মোদতে।।