সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এ’খ’নো রয়েছে কুসংস্কার! সাপে কাঁ’টা নাবালিকাকে কলার ভে’লা’য় নদীতে ভা’সি’য়ে দি’লো পরিবার

একবিংশ শতাব্দীতে এসে আজও ওঝাদের দৌরাত্ম্যে প্রাণ যায় সাধারণ মানুষের। সাপে কামড়ালে এখনো চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার বদলে ওঝাদের দ্বারস্থ হন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা। যে কারণে সুন্দরবনের গোসাবার ছোট মোল্লাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নম্বর কালিদাসপুর গ্রামের মাত্র ১০ বছর বয়সি এক নাবালিকার মৃত্যু হল। সাপে কামড়ানোর পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ওঝার দ্বারস্থ হন তার পরিবারের সদস্যরা।

৩ ঘন্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর যখন ওই নাবালিকার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয় তখন ওঝার কথা মেনে নাবালিকার দেহ কলার ভেলায় করে নদীতে ভাসিয়ে দেন পরিবারের সদস্যরা। এরপর অবশ্য পুলিশ গিয়ে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে নদী থেকে। ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কামড়ায় পূজা নামের ওই নাবালিকাকে। সেই অবস্থায় তাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে না নিয়ে গিয়ে ওঝার কাছে যাওয়া হয়।

সেখানে তিন ঘন্টা ঝাড়ফুঁক চলার পর যখন পূজার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তখন ওঝার কথামতো সারসা নদীতে কলার ভেলায় তার দেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়। এরপর অবশ্য পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নদী থেকে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে। তাকে ছোট মোল্লাখালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হওয়ার আগেই ওই নাবালিকার জীবনাবসান হয়।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ আপাতত সেই ওঝাকে খুঁজছে যে নাবালিকার ওই পরিস্থিতিতে তাকে কলার ভেলায় করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার নিদান দিয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, পূজাকে যদি সঠিক সময়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হতো তাহলে তার প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হতো।