সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

স্বামীকে হ’ত্যা করার জন্য একদিনে একসাথে তিন মহিলার ফাঁ’সি

স্বামীকে খুন করার অপরাধে তিন মহিলাকে এক দিনে ফাঁসি দেওয়ায় ইরান জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্যকর পরিবেশের। জানা যাচ্ছে, ইরানের তিনটি আলাদা আলাদা কারাগারে শুক্রবার তিন মহিলাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে একটি মানবাধিকার সংগঠন দাবি করেছেন, এই বছরে প্রায় ১০ জন মহিলাকে এই একই অপরাধের জন্য ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে।

ওই সংগঠনের এক রিপোর্ট অনুসারে, ২০১০ সাল থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ইরানে মোট ১৬৪ জন মহিলার ফাঁসি হয়েছিল। আর ২০২১ সাল থেকে এখনও অবধি ৩০৬ জন মহিলাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। আর এই সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে ২০২১-এ ইরানে ইব্রাহিম রাইসির উত্থান হওয়ার পর।

ওই তিন মহিলার মধ্যে একজন হলেন, সেনোবার জালালি। তিনি ছিলেন আফগানিস্তানের নাগরিক।তাকে তেহরান এলাকার বাইরে এক কারাগারে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ইরানের পশ্চিমে সানন্দাজ এলাকার একটি কারাগারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় সোহেইলা আবেদিকে। সোহেইলার বিয়ে হয় মাত্র ১৫ বছর বয়সে, বিয়ের ১০ বছর পর তিনি স্বামীকে হত্যা করেন।

আরো পড়ুন: আচ্ছা ইলেক্ট্রিক প্লাগের মধ্যে তৃতীয় পিনটি কে’ন থা’কে? আপনি যেটা ভাবছেন সেটিই কি স’ত্যি?

২০১৫ সালে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি। এছাড়া উত্তর-পশ্চিমে উর্মিয়া অঞ্চলে ফাঁসি দেওয়া হয় ফারানাক বেহেস্তিকে। পাঁচ বছর আগে স্বামীকে খুন করার অপরাধে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। ইরানের আইন মতে, দেশের নারীরা কখনোই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।

এমনকি, শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হলেও বিচ্ছেদ চাওয়ার অধিকার তাদের নেই। এই প্রসঙ্গে ইরান সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করার অপরাধে চলতি সপ্তাহে কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়।

‘দেয়ার ইজ নো এভিল’ চলচ্চিত্রের পরিচালক মোহাম্মদ রসুলফও তাঁদের মধ্যে রয়েছেন। ইরানে মৃত্যুদণ্ডের প্রতিক্রিয়ার উপর তিনি একটি চলচ্চিত্র তৈরি করেন, যা ২০২০ সালে বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানোর পর ‘গোল্ডেন বিয়ার’ পুরস্কারে ভূষিত হয়।