সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কেবলমাত্র মা জগদ্ধাত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই চাকরি দি’তে পারেন: মদন মিত্র

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীরা আজ রাস্তায় সুবিচারের দাবিতে। কারণ এই চাকরিপ্রার্থীরা তাদের নিয়োগের জন্য আজ পাঁচশো দিনেরও বেশি দিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছেন কিন্তু আজও তারা সুবিচার পান নি। উল্টে তাদের উপর পুলিশি নির্যাতন করা হয়। আর তাদের এই অবস্থা নিয়ে সরব হয়েছেন এই রাজ্যের অধিকাংশ মানুষই। ওই চাকরিপ্রার্থীদের পাশে দাড়িয়েছেন তারা।

তীব্র প্রতিবাদ করেছেন বুদ্ধিজীবীরা। এই সব নিয়েই যখন গোটা বাংলা উত্তাল হয়ে রয়েছে তখন কামারহাটি তৃনমূল বিধায়ক মদন মিত্র – এর সম্প্রতি কিছু কথা বা বক্তৃতা আরো বেশি করে রাজনৈতিক তরজা বাড়িয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি বেলঘরিয়ায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে এসেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। ওই পুজোর অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁকে কিছু কথা বলতে শোনা যায়। তিনি আন্দোলনকারী চাকরি পার্থিদের নিয়ে কিছু বলেন।

তিনি বলেন ‘‌চাকরি চাই, ছেলেমেয়েদের চাকরি চাই। কাউকে টাকা দেবেন না। প্রতারকরা ঘুরে বেড়াচ্ছে চাকরি দেব বলে। চাকরি যদি দেয় তাহলে ওই মালিক বসে আছে মা জগদ্ধাত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কাছে চাইবেন। যে চাকরি দেবে সে কোনওদিন টাকা চাইবে না। আর যে টাকা চাইবে, সে কোনওদিন চাকরি দেবে না।’‌

আরো পড়ুন: দিদি সোনমের সন্তানকে এখনো দেখেননি জাহ্নবী, কারণ বে’শ অ’দ্ভু’ত

অর্থাৎ তিনি মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জগদ্ধাত্রী মায়ের সঙ্গে তুলনা করে এই কথা বলেন। কিন্তু তাঁর এই কথা নিয়ে আবারও জলঘোলা শুরু হয়। কেনো বললেন তিনি এমন কথা? আর তার এই কথা নিয়ে একটি বিবেচনা করলেই বোঝা যায় তিনি চাকরী পার্থীদের ওই রাস্তা ছেড়ে উঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চাকরি চাওয়ার কথা বলারই ইঙ্গিত করেছেন। কিন্তু সেটাই যদি বলেন সেটাই বা হচ্ছে কই।

ওই আন্দোলনকারী যুবক যুবতীরা তো মাননীয়ার উদ্দেশেই তাদের দাবি করছেন তারা বার বার বলছেন তাদের চাকরি চাই। সেই কথা শোনা হচ্ছে কই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলন করলেই চাকরি হবে না। চাকরি মিলবে মেধার ভিত্তিতে।

কিন্তু আন্দোলন কারীদের দাবি তারা যোগ্য, তারা পাস করেছেন, তাও তাদের সাথে এই অন্যায় করা হয়েছে। এই আন্দোলনের ফলাফল কি হবে সত্যি জানা নেই। তবে এই সিচুয়েশনে দাড়িয়ে এই রাজ্যের সাধারণ মানুষ শাসকদলের ওপর যথেষ্ট বিরক্ত। যা শাসকদলের জন্য আগামী নির্বাচনে খুবই খারাপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন অনেকেই।