বাস্তু শাস্ত্র আমাদের জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। যদি কোনো কিছুর নির্মাণ বাস্তুর নিয়ম অনুসারে না হয় তবে জীবন ভরে ওঠে নানান সমস্যায়। আমাদের যেমন বাস্তুশাস্ত্র, চিনা জ্যোতিষ মতে অনেকটা তেমনই ফেংশুই। চিনাদের বিশ্বাস অনুযায়ী ঘরে যদি ফেংশুই রাখা হয় তাহলে অর্থ, সমৃদ্ধির ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটে। ফেংশুই কি তা জানেন!
এই বিশেষ বস্তুটি প্রায় তিন হাজার বছরের পুরনো এবং এটি চিনাদের ঐতিহ্য বহন করে আসছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বস্তুর উপকারিতা শুনলে আপনি চমকে যাবেন। সুস্থ জীবন, শান্তিপূর্ণ সংসার এমনকি প্রেমজীবনে সুস্থতা বজায় রাখতে পজিটিভ এনার্জি বহন করে থাকে ফেংশুই।
তাই নিজের পরিবারের উপরও ইতিবাচক প্রভাব ধরে রাখতে ঘরে ফেংশুইয়ের নানা বস্তু রাখতে পারেন। এতে যেমন বাড়ির সদস্যদের সৌভাগ্য ফিরে আসে এবং উন্নতি হয়, তেমনই বাড়ি বা অফিসের বাস্তু দোষ দূর হয়।
বাঁশ গাছ- যেহেতু বাঁশ গাছ ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করতে কাজে লাগে, তাই বাঁশ গাছ যদি বাড়িতে বা অফিসে রাখা যায়, তাহলে জীবনে অনেক উন্নতি হয় এবং চারিদিকে ইতিবাচক শক্তি বিরাজ করে। সেক্ষেত্রে এই বাঁশ গাছ বাড়ির ড্রয়িংরুমে রাখা সবথেকে ভালো।
আরো খবর: ভু’য়ো লেনদেন ও ক’র ফাঁ’কি ব’ন্ধ করতে লাগবে চোখের মণি ও মুখের ছ’বি
ফেংশুই কচ্ছপ- ফেংশুই মতে, কচ্ছপ ইতিবাচক শক্তি এবং দীর্ঘ জীবনের প্রতীক। বাড়িতে বা অফিসে ফেংশুই কচ্ছপ রাখলে কর্মজীবনে অনেক উন্নতির সম্ভাবনা থাকে এবং কর্মক্ষেত্রে সম্মান বাড়ে।
ফিশ অ্যাকোয়ারিয়াম- ঘরে রাখা ছোট মাছ সাফল্যের অন্যতম প্রতীক। তাই ফেংশুই অনুসারে ঘরে মাছ রাখা অত্যন্ত শুভ। মাছের অ্যাকোয়ারিয়াম ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনে।
চিনা মুদ্রা- ফেংশুই মতে তিনটি চিনা মুদ্রা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রতীক। তাই এগুলিকে একটি লাল রঙের ফিতে দিয়ে বেঁধে দরজার হাতলে ঝুলিয়ে রাখুন।
উইন্ড চাইম- ফেংশুই অনুসারে, উইন্ড চাইম ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করে। উইন্ড চাইমসের একে অপরের সাথে সংঘর্ষের সময় যে একটি সুরেলা শব্দ তৈরি হয়, তা বাড়ির সদস্যদের মানসিক শান্তি দেয় এবং মানুষের মধ্যে ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে। তাই উইন্ড চাইম-এর গুরুত্ব অনেক বেশি।
লাফিং বুদ্ধ- লাফিং বুদ্ধের মূর্তি ঘরে এমন জায়গায় রাখা উচিত যাতে ঘরে প্রবেশের সময় এটি প্রথম চোখে পড়ে, কারণ ফেংশুইতে লাফিং বুদ্ধ সৌভাগ্য এবং ইতিবাচক শক্তির প্রতীক।