সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এবার শ্রীলঙ্কার ম’তো অবস্থা হ’তে চলেছে নেপালের, সেদেশের অর্থনীতি প্রশ্ন চি’হ্নে’র মু’খে

গোটা বিশ্বজুড়ে যেভাবে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটেছে তার ফলে নানান ভাবে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে দেশগুলিতে। এরকম পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে নেপালেও।

এভাবে দিনের পর দিন অর্থনৈতিকের দিক থেকে সমস্যা তৈরি হচ্ছে সেখান থেকে বেরোনোর জন্য আগে সতর্ক হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিল কয়েকটি পদক্ষেপ।

নেপাল রাষ্ট্র ব্যাংকের মধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন এবং যেখানে অনুরোধ করেছেন দেশের অর্থনীতিকে রক্ষা করতে গেলে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানি।

আরো পড়ুন: AC কোচে ব্যাগ ছি’ন’তা’ই, ডাকাত ধরতে চলন্ত ট্রেন থেকে লা’ফ দিলেন মহিলা

ইতিমধ্যে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন ব্যাংক থেকে যানবাহনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে কোনরকম ঋন যেন না দেওয়া হয়। নেপাল রাষ্ট্রীয় ব্যাংক এই নির্দেশ দিয়েছেন ২৭ টি বাণিজ্যিক ব্যাংককে।

প্রত্যেক মাসে পেট্রোলিয়াম আমদানি করার জন্য ভারতকে দিতে হয় ২৪ থেকে ২৯ বিলিয়ন টাকা তারা। সমস্ত ব্যাংক কর্মীরা দাবি করেছেন অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পেট্রোলিয়ামের আমদানির খরচ কমিয়ে দিতে হবে এবং সেই টাকার সংখ্যাকে আনতে হবে ১৩ থেকে ১৩ বিলিয়নে। এই নির্দেশনার উপর ভিত্তি করে এই নেপাল অয়েল কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নগেন্দ্র শাহ জানান,” ব্যাংক যেরকম প্রস্তাব তাদের কাছে দিয়েছেন সেটার জন্য ভবিষ্যতে হতে পারে পেট্রোল এবং ডিজেলের সংকট”।

নেপাল ২০২১ সালের তেল আমদানি করার জন্য ১৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করত কিন্তু বর্তমানে যেভাবে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে তাতে এই টাকার পরিমাণ আরো দ্বিগুন এ গিয়ে দাঁড়াবে অবস্থাতে অর্থনীতি বাঁচাতেই এই খরচকে অর্ধেক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এই নির্দেশ অনুযায়ী হিমালয় ব্যাংকের সিইও অশোক রানা বলেন, যানবহন এবং অন্যান্য জিনিসের উপর যদি ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয় তবে গাড়ির সংখ্যা অনেক পরিমাণে কমে যাবে এবং তেল অনেক কম লাগবে।