সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এবার তা’লি’বা’নি’র মতো ফ’তো’য়া আমাদের দেশেও, দাবি ছেলে-মেয়েদের ব’ন্ধ হো’ক একসাথে পড়াশোনা

আফগানিস্তানের তালিবান রাজ কায়েম হওয়ার পরপরই তালেবান জঙ্গিরা একের পর এক ফতোয়া জারি করছে দেশ চালানোর জন্য। তালিবানদের নতুন ফতোয়া অনুসারে মহিলাদের উচ্চশিক্ষার অনুমোদন মিলেছে। তবে ছেলে এবং মেয়ের একসঙ্গে লেখাপড়া শেখার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করেছে তালিবানরা। কোএডুকেশনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জঙ্গিরা। ভারতেও একই সুরে সুর মেলালো মুসলিম সংগঠন জামিয়াত উলেমা-ই হিন্দ।

সংগঠনের নেতাদের দাবি, মুসলিম মহিলাদের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা আছে। তবে তাদের জন্য আলাদা স্কুল-কলেজ গড়ে তোলার বিধান দিয়েছেন তারা। শুধু মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষদেরই নয়, অন্যান্য ধর্মের মানুষদের শিক্ষাক্ষেত্রে ছেলে এবং মেয়ের বিভাজনের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানিয়েছেন তারা। অমুসলিমদের কাছে সংগঠনের শীর্ষ কর্তাদের অনুরোধ, ছেলে এবং মেয়েকে একসঙ্গে পড়তে পাঠাবেন না।

সংগঠনের কর্তা আরশাদ মাদানি বলেন সারাদেশে আজ যে দুরাবস্থা চলছে তার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একমাত্র শিক্ষাই প্রকৃত অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে। তিনি আরো বলেছেন স্বাধীনতার পর থেকে প্রত্যেক সরকার মুসলিমদের শিক্ষা থেকে দূরে রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। মুসলিমরা শিক্ষিত হতে চায় না, এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত বলে দাবি করেছেন তিনি। তার যুক্তি তাহলে মুসলিমরা মাদ্রাসা গড়ে তুলতো না।

এরপর তিনি মুসলিম এবং অমুসলিমদের কাছে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষিত করে তোলার আবেদন রাখেন। তবে তার জন্য তাদের জন্য আলাদা স্কুল-কলেজ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ছেলে এবং মেয়েকে একসঙ্গে পড়তে পাঠানোর বিরোধিতা করেছেন তিনি। তার এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বভাবতই বিতর্ক দানা বেঁধেছে বিভিন্ন মহলে।